৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার রাধা ও শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের উৎসব রাসযাত্রা। এই বছর কার্তিক পূর্ণিমার দিনই পড়েছে রাসযাত্রা। সেই দিনই পালিত হবে গুরুপূর্ণিমা ও দেব দীপাববলিও। সব মিলিয়ে এই দিনটি একটি অতি পবিত্র দিন। রাসযাত্রা হল রাধা-কৃষ্ণের প্রেম উদ্যাপনের দিন। সকল বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির কাছে এই দিনটির মাহাত্ম্য বিশেষ। তবে যে কোনও হিন্দু বাড়িতেই এই দিন শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তবে এর জন্য যে ব্রাহ্মণ খুঁজতে বেরোতে হবে তার কোনও মানে নেই। নিজের মতো করে, বিশেষ কিছু উপায় মেনেই বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে নেওয়া সম্ভব। জেনে নিন উপায়গুলি।
আরও পড়ুন:
রাসপূর্ণিমায় শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করার নিয়ম:
- রাসপূর্ণিমার দিন উপোস রেখে রাধা ও শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করতে পারেন। তবে সেটি সম্ভব না হলে নিরামিষ আহারও গ্রহণ করা যেতে পারে। আমিষ খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
- পুজোর স্থান আগে থাকতে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। শান্ত ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা প্রয়োজন।
- পাঁচ রকমের ফল ও মিষ্টি নৈবেদ্য হিসাবে নিবেদন করতে হবে। মালপোয়া, ক্ষীর, রাবড়ি, মাখন প্রভৃতি শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। এগুলি দিতে পারলে খুবই ভাল হয়। এ ছাড়া মন চাইলে খিচুড়ি ভোগও দিতে পারেন। তবে আমিষ কোনও খাবার ভোগ হিসাবে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:
- প্রথমে ঘণ্টা বাজিয়ে ফুল অর্পণ করতে হবে। এর পর ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে আরাধনা করতে হবে। এই সময় ‘ওম বাসুদেবায় নমঃ’ মন্ত্রটি উচ্চারণ করতে হবে। তার পর রাধা-কৃষ্ণের সামনে নৈবেদ্য নিবেদন করতে হবে। এর উপর তুলসীপাতা ও ফুল ছড়াতে ভুলবেন না।
- পুজো শেষে রাধা-কৃষ্ণকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিতে হবে। সেই সময় ফুল ছুড়ে দিতে পারলে খুব ভাল হয়। এর পর পুজোর ঘর বন্ধ করে রেখে দিন। কিছু ক্ষণ পর গিয়ে ঘর খুলে পুজোর ভোগ সকলের মধ্যে ভাগ করে দিন।