আপনার বিয়ে কী ভাবে হবে, কোন দিকে হবে, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবে, না পেশাদার ঘটকের মাধ্যমে হবে,ইন্টারনেটের মাধ্যমে হবে, না বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের কেউ সম্বন্ধ করে আনবে, না মায়ের বা মামার বাড়ির লোকেরা বিয়ের পাত্র/পাত্রী যোগার করে এনে বিয়ে দেবে, না কোনও বন্ধুর সহযোগিতায় বিয়েটা সারবেন, নাকি আপনি নিজেই আপনার বিয়ের ঘটক হবেন, বা প্রেম করে বিয়ে করবেন না লুকিয়ে বিয়ে করবেন, এর উত্তর পেতে হলে আলোচ্য অংশটি আপনাকে ভাল করেপড়তে হবে।
আপনার জন্মকুণ্ডলী না থাকলে কোনও জ্যোতিষের কাছে গিয়ে করিয়ে নিতে হবে। তারপর জন্মকুণ্ডলী থেকে আপনার সপ্তম পতি কোন ঘর আছে, সেটা জানলে আর আমার এই লেখা পড়লে উত্তরটা পেয়ে যাবেন-
(১) সপ্তম পতি লগ্নে বা প্রথম ভাবে- আপনার জন্মকুণ্ডলীতে সপ্তম পতি যদি লগ্নভাবে বা প্রথম ভাবে অবস্থান করে, তবেআপনার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী যিনি হবেন তিনি আগে থেকেই আপনার খুবই পরিচিত হবেন। তার বাড়ি আপনার বাড়ির খুবই কাছে হবে। এমন হতে পারে, একই ফ্লাটে আপনারা দু’জনে আগে থেকেই বাস করেন, বা পাশাপাশি দুটো আলাদা আলাদা ফ্লাটে আগে থেকেই থাকেন। কিংবা একই পাড়ায় আপনারা থাকেন, বা একই রাস্তায় আপনাদের দু’জনের বাড়ি। বেশির ভাগক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি মুসলিম ও পাঞ্জাবি পরিবারগুলিতে এই রকম বিয়ে হয়। এটা ঠিক প্রেম না, পাশাপাশি থাকার ফলে এই জাতীয় বিয়ে হয়। অনেক সময় মুসলিম পরিবারে নিকট বা দূর সম্পর্কীয় আত্মীয়ের মধ্যে বা ভাই বোনের এই জাতীয় বিয়ে হয়ে থাকে।
(২) সপ্তম পতি দ্বিতীয় ভাবে- সপ্তম পতি দ্বিতীয় ভাবে থাকলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুব ঘনিষ্ঠ বা খুব পরিচিতের মধ্যে পাত্র পাত্রী নির্বাচন হয়ে থাকে। এই সব ক্ষেত্রে বিদ্যালয় পড়াকালীন বন্ধুর ছেলে বা মেয়েকে পাত্র/পাত্রী নির্বাচন করা হয়ে থাকে। আবার কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ছেলে বা মেয়ের মধ্যে এই জাতীয় বিয়ের সম্বন্ধ হয়ে থাকে। এইসব ক্ষেত্রে, কোনও এক অদৃশ্য কারণে, ঘটকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায় পাত্রের মাকে।
এইসব ক্ষেত্রে যদি দ্বিতীয়ভাবে রাহুর অবস্থান থাকে বা রাহুর দৃষ্টি দ্বিতীয় ভাবে থাকে, তা হলে জাতককে কোনও বিধবা মহিলাকে বিয়ে করতে দেখা যায়। যে সব মহিলার জন্মছকে সপ্তম পতি দ্বিতীয়ে থাকে আর রাহুর অবস্থান বা দৃষ্টি থাকে, তাদের জীবনে দু’বার বিবাহ হয়ে থাকে।
(৩) সপ্তম পতি তৃতীয় ভাবে- যাদের সপ্তম পতি তৃতীয় ভাবে থাকে, সে ছেলে বা মেয়ে যেই হোক না কেন, এদের বিয়ে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অথবা নেটের মাধ্যমে বিশেষভাবে বিয়ের সম্বন্ধ এসে থাকে। এই ব্যাপারে নিজের আত্মীয়স্বজনেরা এগিয়ে এসে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্র বা পাত্রীর বিয়ের যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করে তোলে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের মনের মতো পাত্র বা পাত্রী তাদের জন্মস্থানের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যেই পেয়ে থাকেন। পাত্র বা পাত্রী অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষকতার কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। তা যদি না হয় তবে তাদের পাত্র/পাত্রী এমন কোনও কাজেযুক্ত থাকে তার জন্য প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়।
(ক্রমশ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy