জন্মসংখ্যা হল সংখ্যাতত্ত্বের বিষয়। সংখ্যাতত্ত্ব জ্যোতিষশাস্ত্রেরই অংশ। সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের উপর নির্দিষ্ট একটি গ্রহের প্রভাব বেশি থাকে। উক্ত ব্যক্তি যদি সেই গ্রহের দেবতার আরাধনা করতে পারেন, তা হলে নিশ্চিত শুভ ফলপ্রাপ্তি হবে। সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী কোন ব্যক্তির উপর কোন গ্রহের প্রভাব বেশি সেই উত্তর দিতে পারে নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্মসংখ্যা।
জন্মসংখ্যা কী? সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী জন্মদিন, মাস এবং বছরের সংখ্যার যোগফলকে এক সংখ্যায় পরিবর্তিত করলে যে সংখ্যা আসে সেই সংখ্যা হল নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্মসংখ্যা।
আরও পড়ুন:
সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, জন্মসংখ্যা ১ রবির প্রভাব, ২ চন্দ্রের প্রভাব, ৩ বৃহস্পতির প্রভাব, ৪ রাহুর প্রভাব, ৫ বুধের প্রভাব, ৬ শুক্রের প্রভাব, ৭ কেতুর প্রভাব, ৮ শনির প্রভাব এবং ৯ সংখ্যার ব্যক্তিরা মঙ্গলের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বিভিন্ন প্রতিকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রহ প্রতিকার সম্ভব বিভিন্ন দেবতার আরাধনার মাধ্যমে। ভগবান শ্রীবিষ্ণু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিপালক। ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আরাধনায় সংসারজীবনে পার্থিব এবং অপার্থিব লাভ হয় এবং সর্বশেষে মোক্ষলাভ হয়। ভগবান বিষ্ণু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পালনকর্তা। দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের উদ্দেশ্যে মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ (মতান্তরে বলরাম), বুদ্ধ অবতার রূপে ভগবান শ্রীবিষ্ণু যুগে যুগে ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ভগবান বিষ্ণুর নির্দিষ্ট অবতারের আরাধনায় নির্দিষ্ট গ্রহের শুভ ফল লাভ হয়।
আরও পড়ুন:
শ্রীরাম অবতারের আরাধনায় সূর্যের (রবির) শুভ ফল মেলে। কৃষ্ণ অবতারের আরাধনায় চন্দ্রের শুভ ফল মেলে। বুদ্ধ অবতারের আরাধনায় বুধ গ্রহের শুভফল পাওয়া যায়। পরশুরামের আরাধনায় শুক্র গ্রহের শুভ ফল মেলে। নৃসিংহ অবতারের আরাধনায় মঙ্গলের শুভ ফল লাভ হয়। বামন অবতারের আরাধনা করলে দেবগুরু বৃহস্পতির শুভ ফল মেলে। কূর্ম অবতারের আরাধনায় শনিদেবের কৃপা লাভ হয়। বরাহ অবতারের আরাধনায় রাহুর শুভ ফল লাভ হয়। মৎস্য অবতারের আরাধনা করলে কেতুর শুভ ফল লাভ হয়। জন্মসংখ্যা অনুযায়ী যে ব্যক্তির উপর যে গ্রহের কৃপা রয়েছে, সেটি মেনে বিষ্ণুর অবতারের আরাধনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তা হলে খুব ভাল ফল লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস।