জন্মছকে কোথায় যে রাহুকে রাখা উচিত– এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলা খুব কষ্টকর। রাহু সব ভাবেই কম বেশী ক্ষতি করে। জন্মছক থেকে রাহুকে তুলে ফেলে দিতে পারলে খুব ভাল হত। কিন্তু তা তো আর সম্ভব নয়!
ছেলে বা মেয়ে যেই হোক, লগ্নে বা সপ্তমে রাহু থাকলে দাম্পত্য সুখে বা বিবাহিত জীবনের পক্ষে বিশেষ বাধা সৃষ্টি করবেই।
আমরা এখানে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখব মেয়েদের লগ্নে রাহুর অবস্থান নিয়ে। ৩২টি মেয়ের জন্মছকে লগ্নে রাহু কী ধরনের কুফল দিয়েছে, তার ফল সংক্ষেপে তুলে ধরা হবে। স্থানাভাবে জন্মছকের তথ্যগুলি এখানে তুলে ধরা হল না।
কমন অব্জারভেশন: (১) অগ্নি রাশি যে সব মেয়েদের লগ্ন, সেই অগ্নি রাশিতে যাদের রাহু আছে, তারা হঠকারী, উগ্র, বদমেজাজী, গর্বিত ও স্বার্থপর হয়। এইরূপ চরিত্রের জন্য তাদের বিবাহিত জীবনে ঐক্যের অভাবে বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে।
(২) যে সব মেয়েদের লগ্ন কর্কট, কন্যা, মকর ও মীন, এই সব লগ্নে রাহু থাকার জন্য তাদের ক্ষেত্রে তৈরী হয় গোপন শত্রু, যারা তাদের বিপথে চালিত করে বিবাহিত জীবন ধ্বংস করে দেয়।
(৩) বৃষ ও বৃশ্চিক লগ্নে রাহু আছে এমন মেয়েরা অর্থনৈতিক দিক থেকে বঞ্চিত হয়। সেই সঙ্গে থাকে অবিশ্বস্ত স্বামী যাকে বিশ্বাস করা যায় না।
উপরের তিনটি ক্ষেত্রের মধ্যে একজন পেয়েছে নপুংসক স্বামী।
(৪) ৩২টি মেয়ের মধ্যে ২২টি মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ৪টি মেয়ের বিয়ের চেষ্টা চালান হচ্ছে কিন্তু এখনও বিয়ে হয়নি। কারণ বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে। ৬টি মেয়ে অবিবাহিত রয়েছে।
(৫) যাদের বিয়ে হয়েছে অর্থাৎ ২২ জন(১০০ শতাংশ)। যাদের বিয়ে হয়েছে, তার ৪১ শতাংশ বিচ্ছেদের কথাবার্তা চলছে। যাদের বিয়ে হয়েছে তার ৩৭ শতাংশ অলরেডি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। যাদের বিয়ে হয়েছে তার ১৩ শতাংশ বিধবা হয়েছে। যাদের বিয়ে হয়েছে তার ৮ শতাংশ এখনও সংসার করে চলেছে।
(৬) যাদের বিয়ে হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের ৩০ বছর অতিক্রম করার পর বিয়ে হয়েছে।
(৭) ৮ জনের ডিভোর্স হয়েছে, তার মধ্যে ৪ জনের বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ডিভোর্স হয়েছে।
(৮) আরও অনেক নেগেটিভ সাইড ছিল বিশেষ করে যাদের এখনও বিয়ে হয়নি, তা স্থানাভাবে এখানে দেখানো গেল না।
পরিশেষে সিদ্ধান্ত এই যে, কোনও মেয়ের জন্মছকে রাহু একটা বিশেষ অভিশাপ। তাই বিয়ে করার পূর্বে ভেবে চিন্তে পাত্র নির্বাচন করতে হবে। লগ্নে রাহু থাকায় মেয়েদের কাছে নানা ভাবে বিপথে পরিচালিত হওয়ার প্রলোভন আসে। চরিত্র ঠিক রেখে সৎভাবে থাকার চেষ্টা আপ্রাণ চালাতে হবে।
লগ্নে রাহুর কুপ্রভাব থেকে মুক্ত হতে, অল্প বয়সই সঠিক গুরু নির্বাচন করে দীক্ষা নেওয়া উচিত। কোনও উগ্র দেব-দেবীর উপাসনা থেকে বিরত থাকা উচিত। কোনও ভাবেই বাম মার্গে দীক্ষা যেন না হয়। সব রকম উগ্র জীবন-যাপন পরিহার করা। প্রতিকার, ভাল জাতের গোমেদ ধারম। তুলসীর মালা পরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy