Advertisement
E-Paper

‘বিচ্ছেদের পরেও অত্যাচার’, প্রাক্তন স্বামীকে পিটিয়ে খুন করলেন হুগলির যুবতী, মায়ের সঙ্গী হলেন কন্যা!

দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর কদম এবং তাঁর কন্যা খুনের কথা স্বীকার করেন। তাঁদের দাবি, নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন সুমন্তর। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে। তা ছাড়া বাড়িতেও অশান্তি হত।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৪

—প্রতীকী চিত্র।

প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়ির পিছনে বাঁশবাগান থেকে মাথা থেঁতলানো অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার হুগলির তারকেশ্বরের কাঁরারিয়ায়। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন স্ত্রী এবং সৎকন্যা।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুমন্ত শীট। তারকেশ্বরের কেশবচকের বাসিন্দার সঙ্গে কদম মণ্ডলের বিবাহবিচ্ছেদ হয় বছর তিনেক আগে। কদমের এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিনি সুমন্তকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু দাম্পত্য সুখের হয়নি। বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা। তার পর প্রথম পক্ষের মেয়ে অঙ্কিতা মণ্ডলকে নিয়ে অন্যত্র থাকেন কদম।

মঙ্গলবার প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হন সুমন্ত। তার পর আর বাড়ি থেকে বার হননি তিনি। রাত ২টো নাগাদ পুলিশের কাছে খবর যায়, কাঁরারিয়া এলাকার একটি বাঁশবাগানে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার এবং শনাক্তের পরে কদমের বাড়িতে উপস্থিত হন পুলিশকর্মীরা। সুমন্তের খুনে জড়িত থাকতে পারেন, এই সন্দেহে মা-মেয়েকে আটক করা হয়।

দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর কদম এবং তাঁর কন্যা খুনের কথা স্বীকার করেন। তাঁদের দাবি, নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন সুমন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে। তা ছাড়া বাড়িতেও অশান্তি হত। বিবাহবিচ্ছেদের পরেও পিছু ছাড়েননি যুবক। কদম পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়িতে এসে তাঁর উপর অত্যাচার করতেন প্রাক্তন স্বামী। মঙ্গলবার রাতেও অশান্তি হয়। সহ্য করতে না পেরে সুমন্তের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন তিনি। তার পর মেয়ের সাহায্য নিয়ে বাঁশবাগানে দেহ ফেলে দিয়ে আসেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, সুমন্তের বেশ কিছু সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন কদম। প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে ওই টাকা আদায় করতে যেতেন যুবক। এ নিয়ে অশান্তি হত। মৃতের বোন বোন অঞ্জলি মিদ্যার দাবি, দাদার প্রাক্তন স্ত্রী তাঁর প্রথম স্বামী নেপু মণ্ডলকেও খুন করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওর জন্য কত ছেলের জীবন নষ্ট হয়েছে! আমার দাদাকে দিয়ে ভিটেজমি বন্ধক দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল ব্যবসা করবে বলে। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলেই অশান্তি করত। তার পর মেরেই ফেলল দাদাকে। ওর কঠিন শাস্তি চাই।’’

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুমন্তের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি হেফাজতে চেয়ে প্রাক্তন স্ত্রী এবং সৎমেয়েকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে।

Crime Murder Case Hooghly Tarakeshwar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy