চন্দনের গুণাগুণ সম্বন্ধে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে যেমন কার্যকরী, তেমনই ভগবানের মন প্রসন্ন করতেও উপযুক্ত চন্দন। যে কোনও শুভ কাজে এই জিনিস ব্যবহার করার চল রয়েছে। শরীর ঠান্ডা রাখতেও কার্যকরী চন্দন। শাস্ত্র অনুসারে চন্দন একটি অত্যন্ত শুভ জিনিস। যে কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে মাথায় চন্দনের তিলক কেটে গেলে ভাল ফলপ্রাপ্তি ঘটে বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া আরও কিছু উপায় রয়েছে যা চন্দন দিয়ে করতে পারলে খুব ভাল হয়। সেগুলি কী কী জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
চন্দনের উপায়:
১. আর্থিক উন্নতি লাভের উদ্দেশ্যে লাল কাপড়ে এক টুকরো চন্দনকাঠ বেঁধে মা লক্ষ্মীর পায়ে সেটি অর্পণ করুন। এর পর কনকধারা স্তোত্র পাঠ করলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এতে অর্থকষ্ট থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
২. দাম্পত্যজীবনে সুখের জন্য চন্দনকাঠের একটা ছোট্ট টুকরো গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে নিন। তার পর সেটিকে ফটকিরির টুকরোর সঙ্গে সুতো দিয়ে বেঁধে কোমরে পরে নিন। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার বন্ধন দৃঢ় হয়।
৩. মন শান্ত করতে ও কোষ্ঠীতে বৃহস্পতির স্থান উন্নত করতে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার কপালে লাল বা সাদা চন্দনের তিলক লাগান।
আরও পড়ুন:
৪. নিজেকে অশুভ নজর থেকে বাঁচাতে প্রতি দিন কপালে যে কোনও চন্দনের টিপ পরুন। বিশেষ করে, কোনও জরুরি কাজে বাইরে যাওয়ার আগে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে যেতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে সফলতা পেতে সুবিধা হয়।
৫. যে কোনও কাজে বিপদ বা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে? একটা লাল চন্দনের টুকরো নিয়ে মা কালীর পায়ের কাছে রেখে আসুন। এক দিন পর গিয়ে সেটি বাড়ি নিয়ে এসে ঠাকুরের স্থানে রেখে দিন। ধীরে ধীরে সকল বিপদ কেটে যাবে।
৬. ব্যবসার ক্ষেত্রে উন্নতি পেতে গঙ্গাজলের মধ্যে হলুদ ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবসার জায়গায় ছিটিয়ে দিন। দারুণ ফল পাবেন।