৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার কার্তিক পূর্ণিমা। এই মাসের পূর্ণিমার আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কারণ এই দিনই পালিত হচ্ছে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের উৎসব রাসযাত্রা ও দেব দীপাবলি। হিন্দুধর্মে পূর্ণিমা তিথিকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। এই কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বাড়িতে সত্যনারায়ণ পুজো করলে খুব ভাল ফলপ্রাপ্তি ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিন চন্দ্রদেবের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। পূর্ণিমায় চাঁদের আলোয় মনোস্কামনা পূরণ করার জন্য নানা টোটকা পালনের উল্লেখ পাওয়া যায় জ্যোতিষশাস্ত্রে। কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে শিব-বিষ্ণুর আরাধনা করলেও খুব ভাল ফল মেলে। কার্তিক পূর্ণিমার রাতে বা সূর্যাস্তের পরবর্তী সময় চাঁদকে সাক্ষী রেখে দু’টি সহজ কাজ করলে জীবনের ভোল বদলানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করা হয়। জেনে নিন কাজ দু’টি কী কী।
১. কার্তিক পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যা বা রাতে নদীতে স্নান করা অত্যন্ত শুভ। এই দিন চাঁদের আলোয় নদীর জলে ডুব দিয়ে উঠে চাঁদের দিকে তাঁকিয়ে মনের ইচ্ছা জানালে সেটি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এই পুণ্যস্নানের ফলে আমাদের জ্ঞাত-অজ্ঞাত অবস্থায় করা পাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
২. তবে সকলের পক্ষে নদীতে স্নান করতে যাওয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে বাড়ির উঠোনে বা ছাদে, যেখানে চাঁদের আলো বাধাহীন ভাবে পড়ে, এমন জায়গা ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। তার পর সেখানে এক বাটি জল, কিছু তুলসীপাতা ও ফুল রাখতে হবে। তুলসীপাতা আগে থেকে জোগাড় করে রাখতে হবে কারণ পূর্ণিমা তিথিতে তুলসীগাছ থেকে পাতা ছেঁড়া যাবে না। এ বার একটা কাগজে মনের সমস্ত ইচ্ছা লিখে সেটিকে জলপূর্ণ পাত্রটির পাশে রেখে দিন। তার পর পাত্র থেকে অল্প জল তুলে কাগজটির উপর ছিটিয়ে দিন। এ বার চাঁদের দিকে তাকিয়ে মনোবাসনা জানান। জলপূর্ণ পাত্র, ফুল, তুলসীপাতা এবং কাগজটিকে সারা রাত ছাদেই রেখে দিন। পর দিন ভোরবেলা ফুল ও তুলসীপাতা কোনও গাছের গোড়ায় রাখুন বা প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন। জলটিও গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন ও কাগজটিকে কোনও গোপন স্থানে রেখে দিন, যাতে সেটি কারও নজরে না পড়ে।