যে কোনও ব্যক্তির জীবনে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তি বজায় রাখতে অর্থের ভূমিকা যথেষ্ট। অর্থের অভাব ঘটলে জীবনে বহু পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। চাকরি, ব্যবসা, পারিবারিক জীবন, অথবা ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করে অর্থ ও সম্পদ। তাই সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে প্রসন্ন রাখার জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে দারিদ্র সংসারে প্রবেশ করবে না কখনও।
হিন্দু ধর্মের নানা শাস্ত্রে ও জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন কয়েকটি উপায় বলা হয়েছে সেগুলি পালন করলে লক্ষ্মীদেবীর কৃপা বর্ষিত হবে জীবনে। আর্থিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি এবং ইতিবাচক শক্তিতে ভরে উঠবে। জেনে নেওয়া যাক কী সেই সমাধান যা পালন করলে খুশি হন দেবী কমলা। তাঁর আশীর্বাদ সব সময় বিরাজ করবে বাড়িতে।
আরও পড়ুন:
অপরিষ্কার অগোছালো বাড়ি যেমন নেতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনে তেমনই কুপিতা হন ধনসম্পদের দেবীও। ঘরবাড়ি অপরিচ্ছন্ন থাকলে অর্থের অভাব ঘটে জীবনে। প্রতি দিন ঘর বাড়ি পরিষ্কার তকতকে করে রাখলে ইতিবাচক শক্তির আনাগোনা বাড়বে বাড়িতে। প্রসন্ন হবেন দেবী লক্ষ্মী। আর্থিক অবস্থা ফুলেফেঁপে উঠবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। শুদ্ধবস্ত্র আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে। পোশাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বিশুদ্ধতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এতে সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। ময়লা ও ছেঁড়াফাটা পোশাক পরলে অলক্ষ্মী আকৃষ্ট হন।
আরও পড়ুন:
প্রতি দিন ভক্তিভরে গৃহদেবতাদের পূজার্চনা করলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। প্রিয় দেব-দেবীর পুজো করলে দৈনন্দিন কাজে সাফল্য এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। লক্ষ্মীদেবীকে ঘরে বেঁধে রাখতে প্রতি সোমবার মহাদেবের পুজো করতে হবে। এতে সংসারে সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। এই দিনটিতে শিবলিঙ্গের মাথায় জল এবং কাঁচা দুধ ঢাললে ভাল ফল পাওয়া যায়। শিবের মাথায় জল ঢেলে আরতি সম্পন্ন করতে হবে। দেবাদিদেবের পুজো করার সময় মনোস্কামনা জানিয়ে ভক্তিভরে ‘ওম নমঃ শিবায়’ এই শিবমন্ত্রটি জপ করতে হবে।