মাঘী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও শাস্ত্র মতে হিন্দুরাও এই দিন পুজো অর্চনার মাধ্যমে পূণ্য লাভ করতে পারে। এই দিনটির তাৎপর্য হল সকল প্রকার ক্লেশ বিনাশ ও আত্মা শক্তির উন্নয়ন। মাঘী পূর্ণিমার দিন কিছু টোটকা রয়েছে, যা পালন করলে নিজের তথা সংসারের মঙ্গল হবে। এই দিনটিতে কী করলে অধিক সাফল্য পাওয়া যায় জেনে নিন।
মাঘী পূর্ণিমার টোটকা—
• এই দিন সকালে গঙ্গাস্নান করা অত্যন্ত পূণ্যের কাজ। যদি গঙ্গায় স্নান করা সম্ভব না হয়, তা হলে যে কোনও নদী বা পুকুরে ডুব দিয়ে স্নান করতে হবে। এই কাজটি করলে মনের সকল মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
আরও পড়ুন: ১৪২৬ সনের মাঘী পূর্ণিমার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি
• এই দিন দান ধ্যান করা অতি পূণ্যের কাজ বলে মনে করা হয়। সাধ্যমতো যে কোনও জিনিস এই দিন দান করতে হবে। শাস্ত্র মতে দান না করলে কোনও কাজেরই পূণ্য লাভ হয় না। তাই এই দিন দান করা অত্যন্ত ভাল।
• বাড়িতে আসা ভিক্ষাজীবীকে এই দিন কোনও ভাবেই খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। কিছু না কিছু তাঁকে দান করুন।
• মাঘী পূর্ণিমার দিন সকাল থেকে সারা দিন উপোস থেকে সন্ধ্যাবেলায় লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করলে সংসারে কখনও অভাব দেখা দেয় না এবং ধন সম্পদ বৃদ্ধি পায়। লক্ষ্মীর আরাধনার সঙ্গে এই দিন বিষ্ণুদেবের আরাধনা করলে একই পূণ্য অর্জন করা যায়। যাঁরা অত্যন্ত অর্থ কষ্টে ভুগছেন, তাঁরা এই দিন সত্যনারায়ণ ও লক্ষ্মীদেবীর পুজো করুন।
• এই দিন সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন।
• মাঘী পূর্ণিমার দিন সকালে একটি পাত্রে হলুদ, সিঁদুর ও ঘি এক সঙ্গে মিশিয়ে সদর দরজার ওপরে একটি স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। এর ফলে বাড়িতে প্রবেশ করবে মঙ্গল ও শুভ বার্তা।
• এই দিন লক্ষ্মীদেবীর সামনে ১১টি কড়ি হলুদের তিলক দিয়ে রেখে পুজো করুন এবং পুজো শেষে কড়িগুলো একটি লাল কাপড়ে বেঁধে আলমারি বা ক্যাশবাক্সে রেখে দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy