প্রায় কোনও মানুষেরই মনমেজাজ সব সময় একই রকম থাকে না। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের এমন নানা ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় যাতে ভাল মেজাজও বিগড়ে যায়। আবার কোনও দিন এমনও হয় যে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই সময়টা ভাল যায় না কিন্তু দিনশেষে এমন কিছু হয় যে চট করে মন ভাল হয়ে যায়। মনমেজাজের তারতম্যের মধ্যে দিয়েই জীবন বয়ে চলে। তবে তিন রাশির ব্যক্তিদের এই তারতম্য একটু বেশিই হয়। এঁদের মনমেজাজ যখন-তখন বিগড়ে যায়। এই সব ভাল লাগে তো এই খারাপ। এঁরা কিসে আনন্দ পান, আর কিসে দুঃখ, তা বোঝা সকলের সাধ্যে নেই। জেনে নিন এঁরা কারা।
আরও পড়ুন:
কোন তিন রাশির ব্যক্তিদের মনমেজাজ যখন-তখন বিগড়ে যায়?
মেষ: রাশিচক্রের প্রথম রাশি মেষের মনমেজাজ বোঝা মুশকিল ব্যাপার। এঁদের প্রথমে যেটা খুব ভাল লাগে, পর ক্ষণেই সেটা আবার সহ্য করতে পারেন না। এঁদের আবেগপ্রবণ স্বভাবের জন্যও এমনটা হয়। কোনও কিছু নিয়েই এই রাশির ব্যক্তিরা নিশ্চিত নন। বিশেষ করে অনুভূতির ক্ষেত্রে এঁরা বেশির ভাগ সময় ঘেঁটেই থাকেন। সেই কারণেই মেষ রাশির ব্যক্তিদের ঘন ঘন মনমেজাজ পরিবর্তন হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
কর্কট: কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই আবেগতাড়িত হন। আবেগের বশে এঁরা যা কিছু করে ফেলতে পারেন। দ্বিধাবোধ করেন না। আশপাশের ব্যক্তিরা এঁদের সঙ্গে কেমন আচরণ করছে সেটির উপর এঁদের মনমেজাজ ভীষণ ভাবে নির্ভর করে। পাত্তা না পেলে চট করে এঁদের মেজাজ বিগড়ে যায়। কর্কট রাশির ব্যক্তিরা সর্বদা চান যে আশপাশের সকলে এঁদের মনমতো চলুক। সেটা না হলেই এঁদের মুখভার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
বৃশ্চিক: মনমেজাজ যখন-তখন বিগড়ে যায় বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিদেরও। এঁরা একটু চাপা স্বভাবের হন। ফলত এঁদের মনে কখন কী চলছে সেটা বুঝে ওঠাও যায় না। কারও কোনও ব্যবহারে বা কাজে কষ্ট পেলে এঁরা মুখ ফুটে কিছু বলেন না। বদলে চুপ করে যান। বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিরাও সব কিছুর বিচার আবেগ দিয়ে করেন। তাই অপরের ব্যবহারে খারাপ লাগার বিষয়টাও এঁদের মধ্যে অন্যদের তুলনায় বেশি।