রত্নধারণের গুণাগুণ অনেক। এর প্রভাবে ভাগ্যের অমানিশা দূর হয়। তবে ভাগ্যে যদি সেই রত্ন সহ্য হয় তা হলেই ফল পাবেন, না হলে নয়। বহু মানুষই রয়েছেন যাঁরা মন চাইলেই কিছু না কিছু রত্ন পরে নেন। আগুপিছু ভাবেন না। এই কাজটি করা মোটেই উচিত নয়। কারণ, সকলের ভাগ্যে সব গ্রহরত্ন সহ্য হয় না। সেই রকমই একটি বহু প্রচলিত রত্ন হল পলা। আজকাল বহু মানুষই শখ করে পলার আংটি পরেন। তবে এই রত্ন সকলের জন্য নয়। এটি ধারণেরও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি সঠিক উপায়ে মেনেই পলা ধারণ করা উচিত। জেনে নিন পলা পরার খোলনলচে।
আরও পড়ুন:
পলা কারা পরতে পারেন?
- মেষ ও বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিরা নির্দ্বিধায় পলা পরতে পারেন। এই দুই রাশির অধিপতি মঙ্গল। তাই এঁরা পলা পরলে উপকৃত হবেন।
- যে সকল জাতক-জাতিকাদের জন্মছকে মঙ্গল নীচস্থ হয়, তাঁরা পলা ধারণে উপকৃত হবেন। মঙ্গলের স্থান উন্নত করতে সাহায্য করে পলা।
- মাঙ্গলিক দশা থেকে রেহাই পেতেও পলা ধারণের পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।
- সিংহ রাশির ব্যক্তিদের জন্যও পলা ধারণ শুভ। এর ফলে সিংহ রাশি সফলতার শিখরে পৌঁছোতে পারেন।
আরও পড়ুন:
কারা পলা পরবেন না?
শাস্ত্রমতে, মিথুন, কন্যা ও তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের পলা ধারণ করা উচিত নয়। এতে এঁদের সঙ্গে কোনও ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে মনে করা হয়। এ ছাড়াও নানা বিপদের মুখেও পড়তে হতে পারে। কারণ এই তিন রাশির ব্যক্তিদের ভাগ্যে পলা সহ্য হয় না।
আরও পড়ুন:
পলা পরার নিয়মগুলি কী কী?
- রক্তপ্রবাল সর্বদা সোনা, রুপো বা তামার আংটিতে বাঁধিয়ে পরা উচিত।
- ডান হাতের অনামিকা পলা ধারণের জন্য আদর্শ।
- পলা ধারণ করলে ভুলেও ক্যাটস আই, পান্না, হিরে, গোমেদ ও নীলা পরা যাবে না। এতে কোনও রত্নেরই সুফল পাবেন না। বদলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।