পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ হল মহাকুম্ভ। সমুদ্রমন্থনে প্রাপ্ত অমৃত দেবতাদের কাছে রাখার দায়িত্ব পড়ে দেবরাজ ইন্দ্রের পুত্র জয়ন্তের উপর। সেই কাজ সম্পন্ন করার সময় চার স্থানে কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়ে। সেই চার স্থানের নাম হল প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। এই চার স্থানেই পালিত হয় মহাকুম্ভের স্নানযাত্রা। কুম্ভের সময় গ্রহনক্ষত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেবগুরু বৃহস্পতি, সূর্যদেব এবং চন্দ্রদেব প্রাপ্ত অমৃত দেবতাদের আয়ত্বে রাখার কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এই কারণেই বৃহস্পতি, রবি (সূর্য) এবং চন্দ্রের বিশেষ অবস্থানে কুম্ভের সময় নির্ধারিত হয়। কুম্ভ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও, কুম্ভস্নানের জন্য বিশেষ কিছু দিন বা তিথি এবং সময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেই নির্দিষ্ট দিনগুলিতে, নির্দিষ্ট সময়ে স্নান করলে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:
পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কুম্ভস্নানের দিন হল ১২ ফেব্রুয়ারি, ২৯ মাঘ, বুধবার।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে–
১২ ফেব্রুয়ারি, ২৯ মাঘ, বুধবার।
পূর্ণিমা তিথি শেষ রাত ৭টা ২৩ মিনিট।
অমৃতযোগ- সকাল ৭টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত, পুনরায় সকাল ৯টা ৫৯ মিনিট থেকে ১১টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত। পুনরায় বেলা ৩টে ১৩ মিনিট থেকে ৪টে ৪৩ মিনিট পর্যন্ত, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত।
মাহেন্দ্রযোগ– বেলা ১টা ৪৪ মিনিট থেকে ৩টে ১২ মিনিট পর্যন্ত।
বিষ্ণুপদী সংক্রান্তি, ভারতীয় সময় রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে রবি মকর রাশি থেকে কুম্ভ রাশিতে গমন করবে। সকাল ১১টা ৫১ মিনিট গতে সংক্রান্তিকৃত্যং স্নানদানাদি।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে –
পূর্ণিমা তিথি শেষ, রাত ৭টা ৮ মিনিট ৪ সেকেন্ড।
অমৃতযোগ- সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড পর্যন্ত। পুনরায় সকাল ৯টা ৫৯ মিনিট ৬ সেকেন্ড থেকে ১১টা ২৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত। পুনরায় বেলা ৩টে ১১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড থেকে ৪টে ৪১ মিনিট পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিট ১ সেকেন্ড থেকে রাত ৮টা ৫১ মিনিট ২ সেকেন্ড পর্যন্ত।
মাহেন্দ্রযোগ– বেলা ১টা ৪২ মিনিট ২৩ সেকেন্ড থেকে ৩টে ১১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত।
রাত ৭টা ৮ মিনিট ৪ সেকেন্ডের মধ্যে মহাকুম্ভস্নান বা চতুর্থ শাহি স্নান সেরে ফেলতে হবে।