শরীরে থাকা তিলের জ্যোতিষশাস্ত্র মতে যে নানা অর্থ রয়েছে তা আমরা আগেই আলোচনা করেছি। শরীরের বিভিন্ন অংশে থাকা তিলের গুরুত্ব ভিন্ন ভিন্ন। কোনও তিল শুভ ইঙ্গিত দেয়, কোনওটা আবার অশুভ। কিছু তিল আবার আমাদের চারিত্রিক নানা দিক তুলে ধরতেও সাহায্য করে। আজ আমরা আলোচনা করব হাতের বিভিন্ন অংশে থাকা তিল নিয়ে। তিল খুবই সাধারণ একটা জিনিস মনে হলেও আদতে সেটি অসাধারণ। হাতের বিভিন্ন অংশে থাকা তিলের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। জেনে নিন সেগুলি কী।
আরও পড়ুন:
হাতের বিভিন্ন অংশে থাকা তিলের অর্থ:
তালুর মাঝে: যে সকল ব্যক্তির তালুর মাঝে তিল থাকে, তাঁরা খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হন। এঁরা লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলতে পছন্দ করেন। উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। যে কোনও দলের মাথা হয়ে এঁরা খুব ভাল কাজ করতে পারেন।
তালুর উপর: তালুর উপরের দিকে, অর্থাৎ কব্জির কাছের অংশে তিল থাকে যাঁদের, তাঁদের ষষ্ঠেন্দ্রিয় খুব সজাগ হয়। ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে সেটা এঁরা বুঝতে পারেন। অপরের প্রতি এঁরা অত্যন্ত সহমর্মী হন।
বৃদ্ধাঙ্গুলি: যে সকল জাতক-জাতিকার বৃদ্ধাঙ্গুলিতে তিল থাকে, তাঁরা অত্যন্ত সৃজনশীল প্রকৃতির হন। এঁদের কাছে যে কোনও সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। এঁরা সব কিছু নিয়ে গভীরে গিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন:
তর্জনী: তর্জনীতে তিল থাকা জাতক-জাতিকারাও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হন। এঁদের মধ্যে খুব ভাল নেতৃত্বদানের ক্ষমতা থাকে। লক্ষ্যপূরণের জন্য এঁরা যা কিছু করতে পারেন।
মধ্যমা: যাঁদের মধ্যমায় তিল থাকে, তাঁরা খুব ভাল ব্যালেন্স করে চলতে পারেন। এঁরা নিজেদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনে খুব ভাল সামঞ্জস্য রেখে চলতে পারেন। কখনও ঘেঁটে ফেলেন না।
অনামিকা: অনামিকায় তিল থাকা জাতক-জাতিকারা সৃজনশীল কাজে অত্যন্ত পটু হন বলে মনে করা হয়। আঁকা বা সঙ্গীতে এঁরা খুব নাম করেন।
আরও পড়ুন:
কনিষ্ঠা: যে সকল ব্যক্তির কনিষ্ঠায় তিল থাকে, তাঁরা খুব ভাল কথা বলতে পারেন। যে কোনও এমন কাজ, যাতে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে, তা এঁরা খুব ভাল পারেন। এঁদের কথার জাদুতে অপর ব্যক্তিরা ফাঁসতে বাধ্য হন।
কব্জি: হাতের কব্জির মাঝবরাবর তিল থাকলে বুঝতে হবে সেই মানুষটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এঁরা মাথার থেকে মনের কথা শুনতে বেশি পছন্দ করেন। অপরের প্রতি এঁরা অত্যন্ত সহমর্মী হন। কাউকে দুঃখ দিয়ে কোনও কাজ করার কথা এঁরা ভাবতেও পারেন না।
হাতের পাতা: হাতের পাতায় তিল থাকা ব্যক্তিরা ভীষণ চেতনাপ্রবণ হন। এঁদের মধ্যে কোনও অহংবোধ থাকে না। এঁরা সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলা পছন্দ করেন। নিজেদের কাজ সম্বন্ধে জাহির করতে পছন্দ করেন না এই সকল মানুষেরা।