হাসলে সকল মানুষেরই সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। সকল মানুষের হাসির ধরন এক রকম হয় না। কেউ আওয়াজ করে হাসেন, কেউ মুখ টিপে। কোনও মানুষ হাসির সময় ৩২ পাটি বার করে দেন, কেউ আবার হাসলেও দাঁত দেখাতে পছন্দ করেন না। হাসি যে প্রকারই হোক, তা বাচ্চা থেকে বড় সকলের মুখেই ভাল লাগে। কিন্তু এই হাসিতেই লুকিয়ে থাকে আমাদের চরিত্রের কিছু গোপন দিক। জ্যোতিষশাস্ত্রের সাহায্যে আমাদের বিভিন্ন ভাবের বিচার করে চরিত্রের নানা দিকের হদিস দেওয়া সম্ভব। আপনার হাসি আপনার সম্বন্ধে কী বলছে জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
দাঁত না দেখিয়ে হাসা: শাস্ত্রমতে, যে সকল ব্যক্তির হাসির সময় তাঁদের দাঁত দেখা যায় না, তাঁরা খুবই সরল মনের হয়। এঁদের মনে বিশেষ প্যাঁচ থাকে না। এই সকল জাতক-জাতিকার চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। এঁরা কখনও কারও আস্থা নিয়ে খেলেন না। এঁদের ভাগ্যও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এঁদের সঙ্গ দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
চোখ বন্ধ করে হাসা: বহু মানুষেরই হাসির সময় চোখ প্রায় বুজে যায়। শাস্ত্রমতে, এই সকল জাতক-জাতিকা একাচোরা প্রকৃতির হন। এঁরা নিজের সমস্যা নিজে মেটাতেই ভালবাসেন। অপরের কাছে সাহায্য চাইতে বা নিজের সমস্যা অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পছন্দ করেন না। যে কোনও বিষয় এঁরা অপরের থেকে গোপন রাখতেই পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন:
সদাহাস্য: আমাদের আশপাশে এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁদের মুখে সর্বদা হাসি হাসি ভাব লেগে থাকে। স্বল্প চেনা হোক বা বহু দিনের চেনা কোনও মানুষ, সকলকে দেখলেই এঁরা হেসে সম্বোধন করেন। শাস্ত্রমতে, এই সকল ব্যক্তি কর্মঠ প্রকৃতির হন। জীবনে প্রচুর উন্নতি লাভ করেন। এঁদের জীবনে কখনও কোনও অভাবের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না।
দাঁত বার করে হাসা: যে সকল ব্যক্তি মুখটা অল্প খোলা রেখে দাঁত বার করে হাসেন, তাঁদের ধৈর্যশক্তি হয় অপরিসীম। এঁদের সহনক্ষমতাও অন্যদের থেকে অনেক বেশি হয়। সেই কারণে এঁরা জীবনে প্রচুর সফলতা লাভ করেন।
আরও পড়ুন:
অট্টহাসি: কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁদের হাসি দেখলে আশপাশের মানুষেরাও হেসে ওঠেন। এঁদের হাসিকে অট্টহাসি তকমা দিলেও ভুল বলা হবে না। শাস্ত্রমতে, এঁরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান হন। এঁরা যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। এই সকল ব্যক্তি নিজের মতো করে চলতে পছন্দ করেন। অপরের কথায় জীবন চালাতে পছন্দ করেন না।