যাদের পদবির সংখ্যামান ১- যাদের পদবির সংখ্যামান এক, সেই সব লোকেদের প্রবল আত্মবিশ্বাস থাকে। এরা সব সময় নিজের ও একই সঙ্গে অপরের স্বাধিনতায় বিশ্বাসী। এরা চায় না এদের ব্যাপারে কেউ নাক গলাক। এই সব পরিবারের লোকদের সব সময় নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা থাকে। এরা গতানুগতিক ধারায় মোটেই চলে না। এদের মধ্যে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা সব সময়ই থাকে। এরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত সব সময়ই নিয়ে থাকে। এরা উদ্যোগী হয়ে অনেক কিছু করে, যার ফলে এদের চারপাশের লোকেরা এদের দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকে।
যাদের পদবির সংখ্যামান ২- যে সকল পরিবারের পদবির সংখ্যামান দুই, তারা ভীষণ ভাবে সামাজিক ও ঘরোয়া মানসিকতার হয়ে থাকে। ঘর সংসারের খুঁটিনাটি নিয়ে নিজের ও অন্য পরিবারগুলির প্রতি সম ভাবনা পোষণ করে। এরা ভীষণ ভাবে ডিপ্লোম্যাটিক ও মধ্যস্থতাকারী হয়ে থাকে। সব সময় সবার সঙ্গে কম্প্রোমাইজ ও অ্যাডজাস্ট করে চলে। এরা মোটেই ঝগড়াঝাঁটি চায় না। এরা অন্যদের আপ্যায়ন করতে ভালবাসে। একই সঙ্গে নিজেরাও অন্যদের দ্বারা আপ্যায়িত হতে ভালবাসে। এদের সাধারণ জ্ঞান খুব প্রখর। কোথায় কী বলতে হয়, কখন কোন পরিস্থিতিতে কী ধরনের ব্যবহার করতে হয়– এরা সেটা সহজাত ভাবেই জানে। এরা সহকর্মী হিসাবে বেশ বিশ্বস্ত। বিপদে এদের উপর নির্ভর করা যায়। এরা সব সময় পরিবার, কর্মক্ষেত্র ও সমাজ জীবনে ঐক্য রক্ষা করে চলে। এরা সহজে আইনভঙ্গ করে না।
যাদের পদবির সংখ্যামান ৭- সাত পদবির পরিবারগুলি সমাজে থেকেও যেন সমাজে নেই। এরা দু’য়ের মতো সামাজিক নয়। এরা সমাজের হৈ হট্টগোল, সামাজিকতা, লৌকিকতা থেকে একটু আড়ালে থাকতে চায়। এরা মেলামেশায় বেশ সাবাধানী। এরা সত্য ও ন্যায়কে সবার উপরে রাখে, বিশেষ করে এরা নৈতিক মূল্যবোধের মানুষ। এরা প্রবলভাবে নৈতিক শিক্ষাকে ভিত্তি করে চলতে চায়। এরা না থাকলে সমাজ থেকে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হত। এরা সাধু সন্তের মতো জীবনযাপনে বিশ্বাসী। তাই এরা একটু নিরালায় থেকে ধ্যান, যোগ, গবেষণা করতে চায়। কিছু আবিষ্কার করতে চায়। দার্শনিক জীবন যাপনে আগ্রহী। অধ্যাত্ম অনুশীলন করতে চায়। এরা সে ভাবে মানুষজনের সঙ্গে মেলা মেশায় আগ্রহী নয়। এরা নিরালায় থাকলেও জ্ঞান দিয়ে, বিজ্ঞান দিয়ে, শিক্ষা দিয়ে, গবেষণা দিয়ে, মতবাদ দিয়ে, আবিষ্কার দিয়ে সমাজের উপকার করে থাকে। সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে সূক্ষ্ম চিন্তার দরকার, তা একমাত্র এদের কাছেই পাওয়া যায়। এদের মতো করে সমাজ ভাবনা আর কোনও পদবির সংখ্যামান করে না।
যাদের পদবির সংখ্যামান ৮- আট পদবির লোকেরা খুব বেশি মাত্রায় দৃঢ়তা ও কর্তৃত্বপ্রধান মানসিকতার হয়ে থাকে। পারিবারিক ভাবে এরা সকলেই লড়াইয়ের মানসিকতার মধ্যে জন্ম নিয়ে থাকে। সব ব্যাপারেই এদের ভিতরে ‘যুদ্ধং দেহী’ মনোভাব কাজ করে। এই পরিবারের লোকদের প্রত্যেকের প্রচুর প্রাণশক্তি থাকে। সমাজ জীবনে এরা অর্থ, ধন ও সম্পদের মালিক হয়ে থাকে। কেউ আবার জনবলে বলিয়ান হয়ে থাকে বা রাজনৈতিক দাদাগিরিতে শক্তিমান হয়। জাগতিক সুখভোগের উপকরণে এরা আর সকলের থেকে এগিয়ে থাকে। এদের বাড়ির ছেলেমেয়েরা মোটরসাইকেল কিনেও আশেপাশের লোকদের জাহির করে থাকে। এরা ভাল অর্থ পাওয়া যায় এমন সব চাকরি বেছে নেয়। এরা বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারও হয়ে থাকে। সরকারি ভাবে এরা সেই কাজ করে যেখানে আর সকলে এদের অধিনে থাকবে।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র পদবী থেকে আপনার সম্বন্ধে কী জানা যায় (প্রথম পর্ব)
যাদের পদবির সংখ্যামান ৯- নয় যাদের পরিবারের পদবির সংখ্যামান, তারা আর পাঁচটা পরিবার থেকে কিছুটা স্বতন্ত্র। এই পরিবারগুলি সাংস্কৃতিক ভাবে খুব উন্নত চিন্তার হয়ে থাকে। এরা যে সমাজে বাস করে তার চারপাশের মানুষদের সম্বন্ধে বেশ ভাবে এবং তাদের উপকারে আসার চেষ্টা করে। এরা সব সময় সমাজের জন্য কিছু না কিছু করেই থাকে। এদের পরিবারের লোকেরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকে অথবা এদের অনেকেই প্রায় দূর দেশে কর্ম উপলক্ষে যাতায়াত করে থাকে। এদের পরিবারের লোকরা প্রায়ই অসুস্থতা ছাড়াও নানারকম দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে। মানসিক ভাবে এরা খুব নমনীয় মনোভাবের হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য, এদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চলাফেরায় খুব বোহেমিয়ান ভাবের জন্যে কমবেশি বিশৃঙ্খলাপরায়ণ হয়ে থাকে। কোনও কিছু হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়, আবার কোনও কিছু হঠাৎ করে আরম্ভ করে ফেলে। এই হঠাৎ ঘটনা এদের পারিবারিক জীবনে প্রায়ই হয়ে থাকে।
এখানে ইংরাজি বর্ণমালার মানগুলি উল্লেখ করা হল-
1=A, J, S
2=B, K, T
3=C, L, U
4=D, M, V
5=C, N, W
6=F, O, X
7=G, P, Y
8=H, Q, Z
9= I, R