আগামী ২২ জুন, শনিবার অম্বুবাচী আরম্ভ। অম্বুবাচীর সময় দেবী দর্শন নিষিদ্ধ থাকে। ফলে এই সময়ে কামাক্ষ্যা দেবীর মন্দিরের দ্বার বন্ধ রাখা হয়। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা অম্বুবাচীতে করা উচিত নয়। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী:
১। অম্বুবাচীতে ভূমিকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ নিষেধ। কারণ এই সময় ধরণী ঋতুমতী হয়।
২। এই সময়ে গৃহপ্রবেশ, বিবাহ ও অন্যান্য শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ। এই সব কাজ করলে তা অশুভ হবে বলে মনে করা হয়।
৩। এই সময়ে কোনও বিশেষ পূজা রাখবেন না। তবে কোনও বছর যদি এই সময় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা পড়ে, তবে তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই হতে পারে। কেননা এই সময়ে নিত্যকর্ম হবে, কাম্য কর্ম হবে না। রথযাত্রা নিত্যকর্ম।
৪। যাঁরা আদি শক্তির বিভিন্ন রূপ, যথা কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর মূর্তি বা পট পূজা করেন, তাঁরা মূর্তি বা পট লাল কাপড়ে ঢেকে রাখবেন।
৫। পূজার সময় কোনও মন্ত্র পাঠ করবেন না, কেবল ধূপ-দীপ দেখিয়ে প্রণাম করলেই হবে।
৬। অম্বুবাচীতে ভুলেও মূর্তি বা পট স্পর্শ করবেন না। অম্বুবাচীর নিবৃত্তির পর আচ্ছাদন খুলে আসন ধুয়ে দেবীকে স্নান করিয়ে পূর্বের মতো পূজা ও আম-দুধ নিবেদন করবেন।
আরও পড়ুন: ক্রুদ্ধ স্বামীকে সামলানোর ১২টি টিপস
৭। তুলসি গাছের গোড়া এই সময় মাটি দিয়ে উঁচু করবেন। যাঁরা শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিত, তাঁরা জপ করতে পারবেন। কারণ জপে কোনও দোষ নেই।
৮। অম্বুবাচীতে গুরুপূজা চলবে। গুরু যদি নারী হন, অর্থাৎ গুরুমা হন, তা হলেও পূজা চলবে।
অম্বুবাচীর সময় যে কোনও সম্প্রদায়ের দীক্ষিত ব্যক্তিরা মেনে চলুন উল্লিখিত নিয়মগুলি। অত্যাশ্চর্য ফল মিলবে:
১। অম্বুবাচীতে গুরু প্রদত্ত নিজ ইষ্টমন্ত্র যত বেশি সম্ভব জপ করুন।
২। অম্বুবাচীতে সৌভাগ্যকুণ্ডের ধারে গণেশ বিগ্রহ দর্শন করুন ও ভক্তি ভরে পূজা করুন। সৌভাগ্যকুণ্ডের পশ্চিম পাড়ে বিধিপূর্বক স্নান ও তর্পণ করুন।
৩। অম্বুবাচীতে বিধিপূর্বক অগ্নিস্থাপন করে নিজ ইষ্ট মন্ত্রে হোম করুন।
৪। মধ্যরাতে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভের জন্য মনে মনে প্রার্থনা জানান দেবী কামাক্ষ্যাকে। এতে মনস্কামনা পূরণ হয়।
৫। সর্পভয় নিবারণের জন্য আম ও দুধ সেবন করুন। এই সময়ে আম ও দুধ খেলে এক বছর সাপের ভয় থাকে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy