রামদাস আঠাওয়ালের বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্ক। ফাইল চিত্র।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মাফিক প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রে সাংবাদিকদের কাছে এই বেফাঁস মন্তব্য করে নয়া বিতর্ক তৈরি করলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে। তার জন্য কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিদেশে সঞ্চিত সমস্ত কালো টাকা ক্ষমতায় আসার একশো দিনের মধ্যে উদ্ধার করা হবে । শুধু তাই নয়, যে পরিমাণ কালো টাকা বিদেশে জমা আছে, তা উদ্ধার করার পর দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া সম্ভব বলেও জানিয়েছিলেন মোদী।
সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিদেশে সঞ্চিত কালো টাকা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এই নিয়ে নিয়মিত বিরোধীদের উপহাসের পাত্রও হয়ে উঠেছেন তিনি। বিভিন্ন সময় এই ইস্যুটিকে নির্বাচনী লড়াইয়ের হাতিয়ারও করে তুলেছে বিরোধীরা। ঠিক সেই সময় এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কালো টাকা নিয়ে মন্তব্য তৈরি করল নয়া বিতর্ক।
আরও পড়ুন: লুট হয়েছে সব! আত্মহত্যা করার আগে লিখেছিলেন চাষি
কেন্দ্রীয় সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ‘‘ প্রত্যেক মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু তার জন্য সময় লাগবে। সরকারের কাছে অত টাকা নেই। সেই জন্য আমরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে টাকা চেয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু ওরা টাকা দিতে চাইছে না। ওরা কিছু একটা করবে বলছে, কিন্তু টুকটাক কিছু সমস্যায় বিষয়টি আটকে আছে।’’
আরও পড়ুন: জাত-ধর্মের ভিত্তিতে ক্লাসে বসানো হল স্কুলপড়ুয়াদের!
এমনিতেই সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হাতছাড়া হওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে কিছুটা বিপাকে বিজেপি। কালো টাকা নিয়েও এনডিএ সরকারের ভূমিকা খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। নোটবন্দি ব্যর্থ হওয়ার ক্ষোভ ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছে নির্বাচনী ইস্যু। এমন একটা সময়ে এক জন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য নিশ্চিত ভাবেই বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিল, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy