এই ঘর থেকেই উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে।
অন্ধকার ঘর, চারদিকে আবর্জনার স্তূপ। আর তারই মধ্যে ভয়ার্ত মুখে বসে থরথর করে কাঁপছে বছর পনেরোর এক কিশোরী। পুলিশ যখন তাকে উদ্ধার করে, ভয়ে কিছু বলতে পারছিল না সে। কিশোরীকে এই অবস্থায় বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তারই মায়ের বিরুদ্ধে। মেয়েকে বন্দি করে রাখার অভিযোগে তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব দিল্লির কৃষ্ণ নগরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দু’বছর ঘরের মধ্যে ওই কিশোরীকে বন্দি করে রেখেছিলেন তারই মা। সম্প্রতি প্রতিবেশী এক মহিলা থানায় ফোন করে জানান, তাঁর পাশের ফ্ল্যাটে কিছু একটা গোলমাল হচ্ছে। ফোন পেয়ে পুলিশ সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হয়। যে ফ্ল্যাটে গোলমাল আছে বলে মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, সেই ঘরের দরজায় তালা দেওয়া ছিল। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই তাজ্জব হয়ে যায় পুলিশ।
পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে কিশোরীর মায়ের খোঁজ পায় পুলিশ। স্থানীয়রাই পুলিশকে জানান, রোজ সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাটে আসতেন কিশোরীর মা। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেন। কিছু ক্ষণ থাকার পর আবার তালা বন্ধ করে চলে যেতেন। আশেপাশের কারও সঙ্গেই তিনি বিশেষ মিশতেন না। ফলে ফ্ল্যাটের ভিতরে কী চলছে তা কেউ টেরও পায়নি। দীর্ঘ দু’বছর এই ভাবেই চলে আসছে। সম্প্রতি বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে সন্দেহ হয় প্রতিবেশী ওই মহিলার। তার পরই তিনি পুলিশকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: আমরা যে যার মতো সুন্দর! ওদের মন ভাল করে দিলেন প্রিয়ঙ্কা
ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জেনেছে, তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। ওই কিশোরী ছাড়াও তাঁর আরও একটি সন্তান রয়েছে। অন্য একটি ফ্ল্যাটে সেই সন্তানের সঙ্গে তিনি থাকেন। আর রোজ সন্ধ্যায় এই ফ্ল্যাটে এসে তিনি ওই কিশোরীকে খাবার দিয়ে যেতেন। কেন তিনি নিজের মেয়ের সঙ্গে এরকম আচরণ করতেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy