ষোলো বছরের এক কিশোরকে গত এক বছর ধরে নানা সময়ে গণধর্ষণের অভিযোগে সাত নাবালককে আটক করল মুম্বই পুলিশ। খোঁজ চলছে আরও আট অভিযুক্তের।
ধর্ষিত কিশোরটি পশ্চিম আন্ধেরির বাসিন্দা। ক্লাস নাইনে পড়ে সে। ডি এম নগর থানায় ওই ছাত্রটি সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, ১৫ জন কিশোর এক বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছে। সঙ্গে ব্ল্যাকমেলও। এত দিন সেই ভয়েই সে পরিবার বা পুলিশের কাছে মুখ খোলেনি। কয়েক দিন আগে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল তার। সে কথা এক বন্ধুকে বলে। সেই বন্ধু তাকে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। বছর বত্রিশের সেই যুবকটিই তাদের পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরটিকে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেখানে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রত্যেকেরই বয়স ১৫ থেকে ১৭-র মধ্যে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছর। নির্যাতিত ছাত্রটি পুলিশকে জানিয়েছে, প্রথমে তার পাশের বাড়িরই একটি ছেলে তাকে ধর্ষণ করেছিল। সেই ঘটনার ছবি অভিযুক্ত কিশোরটি নিজের মোবাইলে তুলে অন্য বন্ধুদের দেখায়। ছাত্রটির উপর হওয়া যৌন নির্যাতনের ঘটনা কাউকে বললে সেই ভিডিও ক্লিপটি প্রকাশ করে দেওয়ার ভয়ও দেখায় ওই প্রতিবেশী। তার পর ওই এলাকার পুরসভার একটি স্কুলের সামনের মাঠে নিয়ে গিয়ে ষোলো বছরের কিশোরটিকে পর পর ধর্ষণ করে ১৫ জন নাবালক। মোট চার বার তার উপর এই ধরনের নির্যাতন চলে। কিন্তু ব্ল্যাকমেলের ভয়ে এত দিন সে কথা বলেনি। মুখ না খোলার জন্য মারধরও চলত তার উপর। রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য নির্যাতিত ছাত্রটির থেকে ১০০০ টাকা চেয়েছিল এক অভিযুক্ত। ছাত্রটি টাকা না দেওয়ায় আবার তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
গত সোমবার শারীরিক কষ্ট শুরু হওয়ায় বন্ধুর কাছে মুখ খুলতে বাধ্য হয় নির্যাতিত কিশোরটি। মেডিক্যাল পরীক্ষার পরে ছাত্রটিকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ১৫ জন কিশোরের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক, ভয় দেখানো-সহ বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy