প্রতীকী ছবি।
১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল চাতরার ইটখেরি থানা এলাকার তেন্দুয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গতকাল রাতে। আজ দুপুরে ওই দুষ্কৃতীরা নির্যাতিতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তাকে পুড়িয়ে মারে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা ফেরার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাল রাতে তেন্দুয়া গ্রামেই এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই কিশোরী। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হতে অনেক রাত হয়ে যায়। রাতের খাওয়ার পরে সে কলতলায় হাত ধুতে যায়। সেই সময়ে ওই গ্রামেরই কয়েক জন যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজন মেয়ের খোঁজে বেরিয়ে একটি নির্জন এলাকায় তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পায়। জ্ঞান ফিরলে কিশোরী সব ঘটনা মা-বাবাকে খুলে বলে।
আজ সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে নির্যাতিতার মা বাবা ও অভিযুক্তদের নিয়ে গ্রামসভা বসান গ্রামবাসীরা। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘পুলিশকে ঘটনাটি জানালে মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে ওই যুবকেরা মেয়েকে হুমকি দিয়েছিল। তাই পুলিশকে ঘটনাটি না জানিয়ে গ্রামসভাতে অভিযোগ জানাই।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামসভাতে অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন হাজিরও ছিল। অভিযুক্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের কান ধরে ওঠবোস করায় গ্রামসভা। দু’দিনের মধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দিতেও বলা হয়।
এ দিকে এই গ্রামসভা যখন চলছে, তখন বাড়িতে ওই কিশোরী ছাড়া আর কেউ ছিল না। গ্রামসভা শেষ হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই গ্রামবাসীরা দেখেন নির্যাতিতার বাড়িতে আগুন লেগেছে। এক গ্রামবাসী জানান, কোনও রকমে জ্বলতে থাকা ঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। তত ক্ষণে মেয়েটির শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। মেয়েটিকে চাতরার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে ইটখেরি থানার পুলিশের সঙ্গে জেলার পদস্থ পুলিশ কর্তারাও পৌঁছন। ওসি অশোক চৌবে বলেন, ‘‘ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। তবে আগুন কী ভাবে লাগল তা স্পষ্ট নয়। ওই দুষ্কৃতীরাই আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’’ ওসির বক্তব্য, মেয়েটি ওই ঘটনার জেরে আত্মঘাতী হয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy