ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
ডাক্তারির প্রবেশিকা (নিট)-র প্রস্তুতির জন্য গত সপ্তাহ কোটায় এসেছিল ১৭ বছরের যুবক। সোমবার সকালে হস্টেল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হল। প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে সে। কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। চলতি বছর এই নিয়ে কোটায় ১৬ জন পড়ুয়া চরম পদক্ষেপ করল।
মৃতের নাম পুষ্পেন্দ্র সিংহ। কোটা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে জালোরের বাসিন্দা সে। কোটার একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয় সে। সোমবার সকালেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই আরও এক বার আঙুল উঠল কোটায় শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে। অভিযোগ, পড়ুয়াদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য বেশি চাপ দেওয়ার কারণেই তাঁরা চরম পদক্ষেপ করে থাকে। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু সংখ্যক পড়ুয়া পড়াশোনার চাপ এবং ব্যর্থতার ভয়কে দায়ী করে আত্মহত্যা করে।
গত বছর কোটায় ১৫ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছে। এ বছর এখনই সেই সংখ্যা ১৬-তে পৌঁছেছে। শুধু মে মাসেই পাঁচ জন আত্মঘাতী হয়েছে। মৃত পুষ্পেন্দ্রের আত্মীয় বলেন, ‘‘কেন বার বার কোটায় এ রকম হচ্ছে? বাচ্চারা বাড়ি থেকে হাসিখুশি হয়ে এখানে আসে। বাড়িতে যখন কথা বলে, তখনও খুশি থাকে। তার পর কেন এ রকম করে? আমাদের বাড়ির বাচ্চাটি একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সাত দিন আগেই এসেছিল এখানে। তখন কোনও চাপ ছিল না।’’
চলতি মাসের শুরুতে কোটার এক কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, বাহাদুর সিংহ (১৭) নামে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের এক কিশোরকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে ওই কোচিং সেন্টার। বাহাদুরের দাদা জয় ভীম সিংহের অভিযোগ, তাঁর ভাইকে হেনস্থা করা হয়েছে। সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy