Advertisement
E-Paper

মাত্র ১৭ বছর বয়সে এআই শিক্ষিকা বানিয়ে তাক লাগাল আদিত্য, ছোটদের সমস্ত বিষয় পড়াতে পারে ‘সোফি’

বুলন্দশহরের শিবচরণ ইন্টার কলেজে পড়াশোনা করে আদিত্য। কম্পিউটারে খুটখাট করা তার নেশা। এখন এআই নিয়ে মজেছে। লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) চিপসেট ব্যবহার করে ওই ছাত্র বানিয়ে ফেলেছে এআই শিক্ষিকা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:১৮
Ai Teacher

ছবি: সংগৃহীত।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-র সাহায্যে শিক্ষিকা বানিয়ে সকলকে চমকে দিল উত্তরপ্রদেশের এক ছাত্র। শিক্ষিকার নাম সে রেখেছে সোফি। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া আদিত্য কুমারের দাবি, শীঘ্রই সমস্ত বিষয়ে লিখে লিখে পড়াতে পারবে তার এআই শিক্ষিকা। এখন সে শুধু বলতে পারে। শিক্ষিকাকে নিজের স্কুলেই রেখেছে সে।

বুলন্দশহরের শিবচরণ ইন্টার কলেজে পড়াশোনা করে আদিত্য। কম্পিউটারে খুটখাট করা তার নেশা। এখন এআই নিয়ে মজেছে। লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) চিপসেট ব্যবহার করে ওই ছাত্র বানিয়ে ফেলেছে এআই শিক্ষিকা। তাকে নিয়ে স্কুলে যেতেই হইহই কাণ্ড। শিক্ষিকাকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়েই আদিত্য সকলকে চমকে দিয়েছে। এআই শিক্ষিকাকে সকলকে সম্ভাষণ জানিয়ে বলছে, ‘‘আমি তোমাদের এআই শিক্ষিকা। আমার নাম সোফি। আমাকে আবিষ্কার করেছে আদিত্য। এখন আমি বুলন্দশহরের শিবচরণ ইন্টার কলেজে পড়াব। ছাত্রছাত্রীরা বলো, তোমরা কোন বিষয়ে কী জানতে চাও?’’

শিক্ষিকার স্রষ্টা আদিত্য পরীক্ষা করার জন্য সোফিকে জিজ্ঞাসা করে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম কী? সেকেন্ডের ব্যবধানে সোফি বলে দেয়, ‘‘রাজেন্দ্র প্রসাদ।’’ ক্যুইজে উৎসাহী এক খুদে জিজ্ঞাসা করে, ‘‘বলো তো ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?’’ এআই শিক্ষিকা আবার তুরন্ত জবাব দেয়, ‘‘পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।’’ সকলে হাততালি দিতে শুরু করে।

ছাত্রের কীর্তিতে মুগ্ধ এবং গর্বিত স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁরা জানান, আদিত্য এআই শিক্ষিকা বানিয়েছে শুনে তাকে স্কুলে আনতে বলেছিলেন তাঁরা। কথা মতো সোফিকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আদিত্য। আর দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার কথায়, ‘‘অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম এআই দিয়ে কিছু বানাব। শিক্ষিকাই বানালাম। অনেক বড় বড় কোম্পানি এখন রোবট তৈরি করছে। আমি পারি কি না, দেখছিলাম। আমার এই শিক্ষিকা স্কুলপড়ুয়াদের দারুণ কাজে আসবে। এখন ও শুধু বলতে পারে। যাতে ও লিখতেও পারে, সেই বিষয়টা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছি।’’ আদিত্যের সংযোজন,‘‘এখন সমস্ত জেলায় একটি এআই ল্যাবরেটরি তৈরি করা উচিত। ছাত্রছাত্রীরা সেখানে অনেক কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পারে। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভূত সাহায্য করবে এআই।’’

AI Technology Teacher Uttar Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy