বিহার এসটিএফ-এর অনুমান, ধৃতেরা কলকাতা হয়ে পটনায় এসেছিল। প্রতীকী ছবি।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে পটনায় গ্রেফতার করা হল দুই বাংলাদেশি যুবককে। ধৃতেরা জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-এর সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম খাইরুল মণ্ডল এবং আবু সুলতান। রবিবার রাতে পটনা জংশনের পাশে মদনি মুসাফিরখানার দক্ষিণ মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডের কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দু’জনেই বাংলাদেশের খুলনার মহেশপুর থানার চাঁপাতলা গ্রামের বাসিন্দা। বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়া ভারতে ঢুকেছিল তারা। ধৃতদের কাছে ভারতের দু’টি নকল ভোটার পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বিহার এসটিএফ-এর অনুমান, ধৃতেরা কলকাতা হয়ে পটনায় এসেছিল। এসটিএফ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সূত্রের মাধ্যমে খবর মেলে, দু’জন যুবক মদনি মুসাফিরখানার কাছে ঘোরাফেরা করছে। খবর পেয়ে সাদা পোশাকের বাহিনী তৈরি করে পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এর পর সাইকেল স্ট্যান্ডের কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ধৃতদের সঙ্গে গুলশন হামলার প্রধান চক্রান্তকারী তামিম চৌধুরীর যোগাযোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছে বিহার এসটিএফ। নব্য জেএমবির সদস্য নুরুল হোদা মাসুম, রিঙ্কু মণ্ডল এবং সৈবুরকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ওই তিন জনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল খাইরুল এবং আবু সুলতানের। নব্য জেএমবি বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের ফ্রন্টাল সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: আডবাণী এখনও নীরবই, টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ কিন্তু গোপন রাখলেন না জোশী
প্রাথমিক তদন্তে এসটিএফ জানতে পেরেছে, ধৃতেরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ঢুকেছিল। কলকাতাতে কিছু দিন কাটানোর পরে তারা গয়াতে আসে। গত ১১ দিন তারা সেখানেই ছিল। এ ছাড়াও কেরল এবং দিল্লিতেও গিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: কেমন কাজ করল মোদী সরকার? সমীক্ষা বলল, প্রায় সব ক্ষেত্রেই মাঝারিরও নীচে নম্বর দিচ্ছে মানুষ
এ দেশে থাকা নব্য জেএমবির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশপাশি নতুন সদস্য তৈরির কাজও করছিল ধৃতেরা। বৌদ্ধ ধার্মিকস্থলগুলিও রেকি করছিল তারা। ভারত থেকে কোনও ভাবে পাসপোর্ট জুটিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের লড়াইতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল ধৃতেরা। সে কারণেই পটনায় এসেছিল।
আরও পড়ুন: দেশের ৫ কোটি পরিবারকে মাসে ৬ হাজার টাকা, প্রতিশ্রুতি রাহুলের
ধৃতদের কাছ থেকে পুলওয়ামার ঘটনার পরে জম্মু-কাশ্মীরে আধাসামরিক বাহিনীতে নিয়োগের নির্দেশ সংক্রান্ত কপি, আইএসের লিফলেট ও পোস্টার, তিনটি মোবাইল ফোন, একটি মেমরি কার্ড, দু’টো ভুয়ো ভোটার পরিচয়পত্র, একটি ভুয়ো প্যান কার্ড, দিল্লি থেকে হাওড়া এবং গয়া থেকে পটনার রেল টিকিট এবং কলকাতা থেকে গয়ার মহারানি এক্সপ্রেস বাসের টিকিট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের ইতিমধ্যেই আদালতে তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও ধৃতদের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy