গত ৩ মে এক নির্যাতিতা ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে এসেছিলেন এক নির্যাতিতা। সেখানেই তাঁকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য দুই আইনজীবী ‘চাপ’ দেন বলে দাবি ওই নির্যাতিতার। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনা নিয়ে বংশীহারি থানায় অভিযোগও করেছেন ওই মহিলা। শনিবার এ ব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘‘আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
সূত্রের খবর, গত ৩ মে ওই নির্যাতিতা ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতার প্রতিবেশী বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সেই ঘটনা নিয়ে গত সোমবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কুশমণ্ডি থানায় অভিযোগও করেছিলেন নির্যাতিতা। পরদিন, মঙ্গলবার বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে নির্যাতিতা গোপন জবানবন্দি দিতে যান। নির্যাতিতার অভিযোগ, জবানবন্দি দেওয়ার আগে তাঁকে আদালতের পুরনো ভবনের সামনে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে আবদুল্লা খান ও প্রতুল মৈত্র নামের দুই আইনজীবী অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। অভিযোগ তুলতে অস্বীকার করায় তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওই মহিলার। এর পরে তিনি বংশীহারি থানায় ওই দুই আইনজীবীর নামে অভিযোগ জানান। যদিও আইনজীবীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শনিবার এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত সরকারি আইনজীবী প্রতুল মৈত্র বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার সঙ্গে ওঁর দেখাই হয়নি। ষড়যন্ত্র করে কেউ উস্কানি দিয়েছে বলে উনি এই অভিযোগ করছেন হয়তো।’’ একই দাবি করেছেন আবদুল্লাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy