Advertisement
১০ মে ২০২৪

নোট কি পাল্টাবে, মোদীর উত্তরের অপেক্ষা

প্রধানমন্ত্রীর দফতরে খোলা চিঠি গিয়েছে দিন পাঁচেক আগে। আর অনলাইনে সেই চিঠি ফের গিয়েছে ২৫ মার্চ। কোনওটিরই জবাব আসেনি। তাদের অসহায়তার কথা জেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কবে সাড়া দেবেন, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে কোটার দুই অনাথ ভাইবোন।

সংবাদ সংস্থা
কোটা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রীর দফতরে খোলা চিঠি গিয়েছে দিন পাঁচেক আগে। আর অনলাইনে সেই চিঠি ফের গিয়েছে ২৫ মার্চ। কোনওটিরই জবাব আসেনি। তাদের অসহায়তার কথা জেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কবে সাড়া দেবেন, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে কোটার দুই অনাথ ভাইবোন।

তাদের কাহিনি লোকের মুখে মুখে ফিরছে। দাদার বয়স ১৭। বোনের ১০। পুরনো নোটে মায়ের জমানো ৯৬ হাজার টাকা নিয়ে আতান্তরে পড়েছে তারা। তাই মোদীকে তাদের ‘মন কি বাত’ লিখে পাঠিয়েছে দুই ভাইবোন। হিন্দিতে লিখেছে, ‘‘মোদিজী আমাদের মন কি বাত শুনুন। আমাদের আর কেউ নেই। যখন ছোট ছিলাম বাবা ছেড়ে চলে যান। মাকে খুন করা হয়। মায়ের জমানো টাকা বদলাতে দয়া করে দ্রুত সাহায্য করুন।’’

দাদা সুরজ (১৭), বোন সালোনি বানজারা (১০) জানতই না জীবনে এমন কিছু অপেক্ষা করে আছে। দশ বছর আগে ছেড়ে চলে যান ট্রাকচালক বাবা। পুলিশের বক্তব্য, ২০১৩ সালে সুরজ-সালোনির পরিচিত এক ‘কাকা’ ওদের মাকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করে। তার পরে ওদের ঠিকানা হয় কোটা চাইল্ড কেয়ার হোম। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ অনাথ শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য সক্রিয় হন। সেই সূত্রেই কোটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে সারাওয়াড়ায় সুরজ-সালোনির মায়ের বাড়ি যাওয়া। সুরজদের মা পেশায় ছিলেন নার্স। ছেলেটি জানত, বালিশে টাকা ভরে মা ট্রাঙ্কে রেখে দিতেন। তালা লাগাতেন না। ওই বাড়িতে ট্রাঙ্ক খুঁজে পাওয়ার পরে বালিশও পায় সুরজ। তার পরেই জোর ধাক্কা।

নয় নয় করে ঠেসেঠুসে বালিশে ছিল ৯৬ হাজার টাকা। তার পুরোটাই পুরনো এক হাজার এবং পাঁচশো টাকার নোটে। গত বছর ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের ঘোষণার পরে সুরজদের ওই টাকা থেকেও এখন নেই। পুরনো নোট জমার সময়ও পেরিয়ে গিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে তারা। সুরজের কথায়, ‘‘কোটায় ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। মা টাকা জমিয়ে সারাওয়াড়ায় বাড়ি তুলছিলেন। দু’টি ঘর বানানো হয়ে গিয়েছিল। একটা অর্ধেক হয়েছিল। তখনই মাকে খুন করা হয়।’’

রবিবার কোটার সাংসদ ওম বিড়লা ভাইবোনের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওদের মা কাজ করে টাকা জমিয়েছিলেন। তাই সরকারের কাছে আমরাও আর্জি জানাব। যদি আইনি কারণে টাকা বদল না করা যায়, ওদের সাহায্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে দিতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Banned Notes orphan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE