Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Cow vigilante

গরু পাচারের অভিযোগ, বেঁধে, কান ধরে বসিয়ে বেধড়ক মার ২৪ জনকে

আক্রান্তরা খান্ডোয়া, সেহোর, দেওয়াস ও হরদা জেলার বাসিন্দা। ২৪ জনের মধ্যে ৬ জন মুসলিম ছিলেন। আক্রান্তদের দাবি, মহারাষ্ট্রে পশু মেলায় গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সাভালিকেড়া গ্রামে পৌঁছতেই এক দল গোরক্ষক তাঁদের ঘিরে ধরেন।

বেঁধে রাস্তায় বসিয়ে রাখা হয়েছে সেই ২৪ জনকে। ছবি সৌজন্য টুইটার।

বেঁধে রাস্তায় বসিয়ে রাখা হয়েছে সেই ২৪ জনকে। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ১১:৫১
Share: Save:

গরু পাচার করার অভিযোগে ২৪ জনকে একসঙ্গে বেঁধে, রাস্তায় হাঁটু মুড়ে, কান ধরে বসিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক দল গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। রবিবার মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার সাভালিকেড়া গ্রামের ঘটনা।

আক্রান্তরা খান্ডোয়া, সেহোর, দেওয়াস ও হরদা জেলার বাসিন্দা। ২৪ জনের মধ্যে ৬ জন মুসলিম ছিলেন। আক্রান্তদের দাবি, মহারাষ্ট্রে পশু মেলায় গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সাভালিকেড়া গ্রামে পৌঁছতেই এক দল গোরক্ষক তাঁদের ঘিরে ধরেন। তাঁরা সংখ্যায় প্রায় ১০০-জনের মতো ছিলেন। গরু চুরির অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন গোরক্ষকরা। তার পর দড়ি দিয়ে বেঁধে তিন কিলোমিটার তাঁদের হাঁটিয়ে খালোয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয় অভিযোগ, হামলাকারীরা তাঁদের জোর করে ‘গো মাতা কি জয়’ বলতে বাধ্য করেন।

জেলা পুলিশ সুপার শিবদয়াল সিংহ জানিয়েছেন, আক্রান্তরা মেলায় গরু নিয়ে যাওয়ার দাবি করলেও, তেমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “আক্রান্তদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না। এবং যে গাড়ি করে গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটারও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। মধ্যপ্রদেশ গোবংশ বধ প্রতিষেধ অধিনিয়ম-এ আক্রান্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাঁদের।”

আরও পড়ুন: সেতু থেকে ১৫ ফুট নীচে পিছলে পড়ল বাস, যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে মৃত ২৯

আরও পড়ুন: রাতের শহরে ফের শ্লীলতাহানি, ধৃত বহুতলের নিরাপত্তারক্ষী

এই ঘটনায় হামলাকারীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

এই মধ্যপ্রদেশেই গত মে-তে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। বার বার একই ঘটনা ঘটছে, তার পরেও দোষীরা ছাড় কী ভাবে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE