ব্রহ্মপুত্র ও আশপাশের নদীতে জল বাড়ার ফলে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৮০ শতাংশ এলাকাই জলমগ্ন। ফিল্ড ডিরেক্টর পি শিবকুমার জানান, ধনসিরি নদীর জলও কাজিরাঙায় ঢুকছে। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার করে অন্য দিকের পাহাড়ে যাচ্ছে হাতি, গন্ডার, হরিণ, বাঘ ও অন্য প্রাণী। সে কারণে জাতীয় সড়কে গাড়ির গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চোরাশিকার রুখতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। নৌকায় টহল দিচ্ছেন বনরক্ষীরা। প্রাণীদের আশ্রয় দিতে গত কয়েক বছরে জাতীয় উদ্যানের ভিতরে ২০০টি উঁচু এলাকা তৈরি করা হয়েছে। আশপাশের গ্রামে আশ্রয় নেওয়া হরিণ ও অন্য প্রাণীদের উদ্ধার করতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। অসমের ২৫টি জেলায় বন্যা চলছে। জলকবলিত মানুষের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র। বন্ধ ফেরি পরিষেবা। ৬২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৭।