ছবি: পিটিআই।
উপত্যকায় সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য। জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন জঙ্গি। পাশাপাশি, বড়সড় একটি জঙ্গি মডিউলের হদিশও মিলেছে। সাম্প্রতিক অতীতে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির পেছনে এই মডিউলের যোগ আছে বলে দাবি পুলিশের।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্প্রতি উপত্যকার ডোডা, উধমপুর এবং কাঠুয়া অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোটমুখী উপত্যকায় রক্তপাত এড়াতে সক্রিয় নিরাপত্তাবাহিনী। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর প্রথম ভোট হতে চলা জম্মু-কাশ্মীরে ধারাবাহিক সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কাও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে উপত্যকায় জঙ্গি মডিউলের চাঁই সহ নয় জঙ্গির গ্রেফতারি নিশ্চিত ভাবেই বড়সড় সাফল্য। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সাম্বা-কাথুয়া সেক্টরে ‘বিশেষ ব্যবস্থাপনায়’ নিয়ন্ত্রণরেখা পেরনো জঙ্গিদের গা ঢাকা দিতে সাহায্য করত এই মডিউলের সদস্যরা। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো ওই তিন জঙ্গিও এই মডিউলের সদস্যদের ছত্রছায়ায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। ২০২১ থেকে সেখানে জঙ্গি হামলার বলি হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি জওয়ান। সেই হামলা ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গত কয়েক সপ্তাহে। মাসখানেক আগেই খবর মিলেছিল, কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের সঙ্গে আরপিজি, মেশিনগান-সহ আধুনিক অস্ত্র, নাইট ভিশন্ এবং উন্নত স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। নির্বাচনের আগে উপত্যকায় অশান্তি ছ়ড়ানোর অপচেষ্টা রুখতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy