বড় বড় বাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বোর্ডিং গেটের দিকে। যুবক যাত্রীকে আটকান স্পাইসজেটের এক কর্মী। কী ব্যাপার? জবাবে সেই কর্মী জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত ব্যাগপত্র এনেছেন। তাই কেবিন লাগেজের ভাড়াও অতিরিক্ত দিতে হবে। শুনেই রাগে ফেটে পড়েন যাত্রী। খানিক কথা কাটাকাটির পর শুরু মার! ছাড়াতে গিয়ে যাত্রীর মার খান আরও তিন জন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগর থেকে দিল্লিগামী একটি বিমানে। দিন সাতেক ঘটা ওই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। রবিবার এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ।
রবিবার স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৬ জুলাই শ্রীনগর থেকে দিল্লি আসছিল একটি বিমান। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরতে আসা এক যাত্রীর হাতে প্রহৃত হন চার কর্মী। ক্রমাগত লাথি, ঘুষিতে চার কর্মীরই শিরদাঁড়া ভেঙেছে এবং থুতনি ফেটে গিয়েছে!
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যাত্রী একজন সেনা আধিকারিক। স্পাইসজেটের দাবি, সে দিন ওই যাত্রী দুটো ঢাউস কেবিন লাগেজ নিয়ে বিমানে উঠতে যাচ্ছিলেন। বোর্ডিং গেটে তাঁকে আটকানো হয়। কারণ, তাঁর ব্যাগপত্রের ওজন ছিল ১৬ কেজি। ৭ কেজি ওজন পর্যন্ত ছাড় থাকে। তাই আন্তরিক ভাবেই এক কর্মী তাঁকে জানিয়েছিলেন, এ জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু সেনা আধিকারিক তা মানতে চাননি। তিনি প্রোটোকল ভেঙে জোর করে বিমানে উঠতে যান। নিজেদের কর্তব্য পালন করেন সিআইএসএফ আধিকারিকেরা। ওই যাত্রীকে ফেরত পাঠান তাঁরা।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, ওই সময় রেগেমেগে স্পাইসজেটের কর্মীদের দিকে তেড়ে যান সেনা আধিকারিক। বিনা প্ররোচনায় চার জনকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। মারের চোটে এক জন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে পরিস্থিতি সামলায় সিআইএসএফ।
স্পাইসজেট জানিয়েছে, ওই ঘটনায় তারা এফআইআর দায়ের করেছে। তা ছাড়া অভিযুক্ত যাত্রীকে ‘নো ফ্লাই’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কাছেও দরবার করেছে তারা। ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে বিমান সংস্থা।