চার বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্কুল-গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে! শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল ভ্যানের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, বেসরকারি ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ আরিফ। ২৫ বছর বয়সি ওই যুবক এবং স্কুলের ম্যানেজার সন্দীপ কুমারের বিরুদ্ধে শুক্রবার একাধিক ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো)-র পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৬৫(২) (১২ বছরের কম বয়সি কাউকে ধর্ষণ), ৩৫২ (ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমান), ৩৫১(২) (ভয় দেখানো) এবং তফসিলি জাতি ও জনজাতি (অপরাধ প্রতিরোধ) আইন রয়েছে। ইন্দিরানগর থানার এসএইচও সুনীল কুমার তিওয়ারি রবিবার পিটিআইকে বলেন, ‘‘ধৃত চালক নিজেই গাড়িটির মালিক ছিলেন। কিন্তু স্কুলই তাঁকে নিযুক্ত করেছিল।’’ সুনীল আরও জানিয়েছেন, শিশুটির মায়ের অভিযোগ, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে চালকের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত স্কুলের কোনও কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা।
আরও পড়ুন:
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। স্কুল থেকে ফিরে চার বছরের শিশুকন্যা তার মাকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে তীব্র ব্যথা হচ্ছে। মা দেখে বুঝতে পারেন, মেয়েকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনিও একই কথা বলেন। এর পর স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন মা। কিন্তু অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি। বরং দিনদুয়েক পর ফের অভিযুক্ত চালকই গাড়ি করে মেয়েকে নিতে আসেন। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ জানান মা। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শশাঙ্ক সিংহ জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ জন্য দু’টি আলাদা দলও গঠন করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।