ছবি প্রতীকী।
ঠিক যেন বলিউডি ফিল্মের দৃশ্য! তবে তা দেখা গেল একেবারে বাস্তবের মাটিতে। সিবিআই অফিসার সেজে দুঃসাহসিক ডাকাতি হায়দরাবাদের এক সংস্থায়। তা-ও এক্কেবারে বলিউডি কায়দায়। বুধবার একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিস থেকে ৪০ কিলোগ্রাম সোনা হাতিয়ে চম্পট দিল সশস্ত্র ডাকাতেরা। তবে এই ঘটনার সঙ্গে অনেকটাই মিলে গিয়েছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘স্পেশাল ছাব্বিশ’-এর প্লট। ওই সিনেমার মতোই এখানেও সিবিআই অফিসার সেজে এসেছিল ডাকাত দল।
আরও পড়ুন
পুরুষ আত্মীয় ছাড়া রাস্তায় বেরনোর ‘অপরাধে’ মহিলার শিরশ্ছেদ
হায়দরাবাদের শহরতলি এলাকা আর সি পুরমের ওই সংস্থা গ্রাহকদের থেকে সোনা জমা রেখে টাকা ঋণ দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন সাড়ে ৯টা নাগাদ সংস্থার অফিসের সামনে এসে দাঁড়ায় একটি কালো স্কর্পিও গাড়ি। গাড়িতে পাঁচ জন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। বেশ খানিকটা ২০১৩-র নীরজ পাণ্ডের হিট ফিল্ম ‘স্পেশাল ছাব্বিশ’-র ধাঁচে গড়া চিত্রনাট্য। তবে সেখানে মুম্বইয়ের একটি সোনার গয়নার দোকানে সিবিআই অফিসার সেজে ডাকাতি চালানো হয়েছিল। সে ফিল্মও তৈরি হয়েছিল মুম্বইয়ের বিখ্যাত ত্রিভুবনদাস ভীমজি জাভেরি জুয়েলার্স-এর এক সোনার দোকানে ১৯৮৭-এর হওয়া ডাকাতির ঘটনা অবলম্বনে।
পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “এ দিন ওই অফিসে ঢুকে পাঁচ জনই জানায়, তারা সিবিআই অফিসার। প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র ছিল।” ওদের মধ্যে এক জন ট্র্যাফিক পুলিশ সেজে এসেছিল। অন্য জনের মুখ ঢাকা ছিল বাঁদুরে টুপিতে। অফিসে ঢুকে তারা জানায়, ওই শাখায় কোন একটা দুর্নীতি চলছে বলে তাদের সন্দেহ। আর তা তদন্ত করতেই এসেছে তারা। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বাধা দিলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সবাইকে এককোণে সরে যেতে বলে তারা। এর পর লকার রুমের চাবি চেয়ে নিয়ে সেখানে তল্লাশির ভান করা শুরু করে। এটা একটা রুটিন তল্লাশি বলেও জানিয়েও দেয়। অফিসের এক কর্মী জানিয়েছেন, এর পর একটা বড় ব্যাগ ও বিছানার চাদরে করে লকারের সমস্ত সোনা নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় তারা। যাওয়ার সময় অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও সঙ্গে নিয়ে যায় ডাকাতেরা।
সাইবরাবাদের পুলিশ জানিয়েছে, একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আন্তঃরাজ্য সীমানা সিল করে দিয়ে ডাকাত পাকড়াও করতে নেমেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy