মেঘালয়ের দু’টি গ্রামের খনি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে প্রায় ৪০০০ টনেরও বেশি কয়লা। এই কয়লাখনিগুলিতে যাঁরা নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে মেঘালয় হাই কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মেঘালয়ের রাজস্বমন্ত্রী কিরমেন শীলা দাবি করেন, বৃষ্টির জলে ওই বিপুল পরিমাণ কয়লা ধুয়ে যেতে পারে।
সোমবার মন্ত্রী বলেন, “মেঘালয়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। আপনি জানেন না, হয়তো বৃষ্টির জলে কয়লা ধুয়ে যেতে পারে। এই সম্ভাবনাই বেশি।” একই সঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি ৪০০০ টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না। কেবল সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবহিত নন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে মন্ত্রীর এই আজব দাবি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
মেঘালয়ের রাজাজু এবং দিয়েংগান গ্রাম থেকে কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার পর গত শুক্রবার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল মেঘালয় হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকি থাকার কারণে ২০১৪ সালে মেঘালয়ে কয়লা উত্তোলন এবং পরিবহণ নিষিদ্ধ করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি)। গত বছর মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ে সে রাজ্যের প্রথম বিজ্ঞানসম্মত খনিতে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
তার পরেও অবশ্য মেঘালয়ের নানা জায়গায় অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, এই ধরনের দাবির সপক্ষে কোনও জোরালো প্রমাণ নেই। সরকারের বিভিন্ন দফতর বিষয়টির উপর নজর রাখছে বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা রুজিরুটির তাগিদে অবৈধ ভাবে এটা (কয়লা উত্তোলন) করে থাকতে পারেন। তবে আমি আশাবাদী তাঁরা এমন কিছু করবেন না, যাতে আমাদের রাজ্যের ক্ষতি হয় এবং আদালত আমাদের দিকে আঙুল তোলার সুযোগ পেয়ে যায়।”