Advertisement
E-Paper

স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে কত হাজার কোটির বাণিজ্য চলে বাংলাদেশের? কতটা প্রভাব পড়বে দিল্লির সিদ্ধান্তে

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে স্থলপথে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। খোলা আছে শুধু কলকাতা এবং মুম্বই বন্দর। এর ফলে আমদানি কমতে পারে।

42 percent of imports from Bangladesh are being affected for India’s decision

(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৫ ১৩:৩২
Share
Save

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক, ফল, সুতো, কাঠের আসবাবের মতো পণ্যগুলি স্থলবন্দর দিয়ে আর ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না। পোশাকের জন্য কেবল খোলা রাখা হয়েছে কলকাতা এবং মুম্বই বন্দর। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে চলেছে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ-এর (জিটিআরআই) একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, স্থলবন্দর বন্ধ করার ফলে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ আমদানিতে কোপ পড়েছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, এ দেশের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক ভারতে ঢুকবে না। কেবল মুম্বই এবং কলকাতা বন্দর দিয়ে জলপথে এই পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে। ফল, ফলের স্বাদযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার (কেক, চিপ্‌স বা স্ন্যাক্স), তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা বা মিজ়োরামের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়েও এই পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। জিটিআরআই-এর পরিসংখ্যান বলছে, ভারতীয় মুদ্রায় এই সমস্ত পণ্যের বার্ষিক আমদানির মোট মূল্য সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকার বেশি।

মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল, চুনোপাথরের ক্ষেত্রে অবশ্য স্থলপথে বাণিজ্যে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি ভারত। তা ছাড়া, ভারতের মাধ্যমে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের যে পণ্য যায়, তার ক্ষেত্রেও কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের নির্দেশিকা মেনে এখন থেকে পোশাক, তেল, ফল বা সুতো এ দেশে রফতানি করতে হলে বাংলাদেশের একমাত্র ভরসা জলপথ। তা ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এতে রফতানির পরিমাণ কমতে বাধ্য। ফলে বাংলাদেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে চলে আসেন। তার পর থেকে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। অভিযোগ, ইউনূসের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে ভারত সরকার একাধিক বার উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। কিছু দিন আগে ইউনূস চিন সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি সম্পর্কে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিও নজর এড়ায়নি। এর মাঝেই সম্প্রতি ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করে দেয় ঢাকা। তার পরেই নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্ত।

India Bangladesh Border Bangladesh Ministry Of Commerce And Industry

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।