প্রতীকী ছবি।
পুণেতে এক বেকারিতে ভয়াবহ আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৬ জনের। শুক্রবার ভোররাতে আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা সকলে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁরা ওই রেকারিতেই কাজ করতেন। যখন আগুন লাগে সেই সময় ওই ৬ জন বেকারির ভিতরেই ঘুমোচ্ছিলেন। বেকারির দরজা বাইরে থেকে আটকানো থাকার কারণে বেরোতে না পারায় শ্বাসরুদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শ্রমিকদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা বেকারি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেই দমকলে খবর দেন। এক দমকল আধিকারিক জানান, আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন তাঁরা। দোকানের ভিতর থেকে তখন কালো ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে উঠছিল। ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে দেখা যায় জোকান বাইরে থেকে তালা দেওয়া। খবর দেওয়া হয় দোকানের মালিককে। তিনি এসে দোকান খুলতেই দেখা যায় ভিতরে তখন আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে বেকারির বেশির ভাগটাই। দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ওই আধিকারিক আরও জানান, স্থানীয় সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পারেন বেকারির ভিতর লোক ছিল যখন আগুন লাগে। দমকলকর্মীরা যখন দোকানের ভিতরে ঢোকেন, তত ক্ষণে প্রায় সব শেষ। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬ জনকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও খবর: শহরে পরপর আগুন, পাতিপুকুরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ মৃত ২
প্রাথমিক ভাবে দমকল কর্মীরা মনে করছেন, শট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে। প্রথমত, ভিতরে লোক থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে কেন দোকানে তালা লাগানো ছিল? আগুন লাগার পরও কেন টের পেলেন না শ্রমিকেরা? আর টের পেলেও কেন তাঁরা চিত্কার করলেন না? তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, বাইরে থেকে তালা দিয়ে দরজা আটকানোর ফলে বেরোতে না পেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শ্রমিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy