তিন জনেরই শরীরে ছিল গভীর ক্ষতচিহ্ন। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
স্বামী এবং তাঁর দুই স্ত্রীর মৃতদেহ পড়েছিল বন্ধ ঘরের ভিতরে। তিন জনেরই শরীরে গভীর আঘাতের চিহ্ণ। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ঘর। অথচ ধারেকাছে অস্ত্রের হদিস মেলেনি। দরজাও বন্ধ ছিল ভিতর থেকে। ওড়িশায় এই ঘটনার রহস্য উদ্ধার করে উঠতে পারছে না পুলিশ। ঘটনাটি আদৌ খুন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম টঙ্কধর সাহু। তাঁর বয়স ৬০। দুই স্ত্রীকে নিয়ে ওড়িশার বারগড় জেলার আখজিফুটা গ্রামে থাকতেন তিনি। প্রথম স্ত্রী দ্রৌপদী সাহুর বয়স ৫৫। তবে তাঁর সন্তান না হওয়ায় বছর কয়েক আগে আরও একটি বিয়ে করেছিলেন টঙ্কধর। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মাধবী সাহু। বয়স ৫০। পুলিশ জানিয়েছে তিন জনেরই দেহ তাঁদের বাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁদের তিন জনেরই শরীরে ছিল গভীর ক্ষতচিহ্ন। তবে মৃতদেহের ধারে কাছে কোনও অস্ত্রের খোঁজ আপাতত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ রাখা ঘরে তবে কি নিজেরাই কোনও অশান্তির জেরে খুন করেন পরস্পরকে, না কি এর নেপথ্যে রয়েছে চতুর্থ কোনও ব্যক্তি? আপাতত তারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধ কীভাবে আইন এড়িয়ে দু’টি বিয়ে করে বছরের বছর ওই গ্রামে বাস করছিলেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ ভারতীয় সংবিধানে বিবাহে দ্বিগামিতা অবৈধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy