Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Heat

Murder: মাকে মারধর করার ‘শাস্তি’, ছেলেকে চড়া রোদে বেঁধে রেখে ‘খুন’ করলেন বাবা

ছেলেটির বয়স ৪০। চড়া রোদে দুপুর ২টোর সময় তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন বাবা। তেষ্টায় জল চাইলেও দেননি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদসংস্থা
ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ১২:১১
Share: Save:

এই গরমে দুপুর ২টোর সময় ছেলের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে চড়া রোদে ফেলে রেখেছিলেন বাবা। প্রবল দাবদাহে যখন জলের জন্য চিৎকার করেছেন সন্তান, এক ফোঁটা জলও দেননি তিনি। এই অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা থাকার পর মারা যান ছেলে। গ্রেফতার হওয়ার পর ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, যা করেছেন তার জন্য এক চিলতে অপরাধবোধও নেই তাঁর। বরং তিনি মনে করেন ছেলেকে উপযুক্ত ‘শাস্তি’ই দেওয়া হয়েছে।

ছেলের বয়স ৪০। নাম সুমন্ত নায়েক। তাঁর বাবা পানুয়া নায়েকের বয়স ৬৫। ওড়িশার কেওনঝড় জেলার বাসিন্দা তাঁরা। বাড়ি সানামাসিনাবিলা গ্রামে। পুলিশের জেরায় পানুয়া জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ মাকে প্রবল মারধর করেন সুমন্ত। ছেলের হাতের আঘাতে হিপজয়েন্ট ভেঙে যায় বছর ৫৫-এর প্রৌঢ়ার। এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি চলছিল। শনিবার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সুমন্তর। তার পরই ছেলেকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পানুয়া।

পানুয়া পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি জাতীয় সড়কের ধারে একটি খাবারের দোকান চালান। তবে সুমন্ত তাঁকে ওই কাজে সাহায্য করতেন না। পুলিশ জানিয়েছে, সুমন্ত কোনও নির্দিষ্ট পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পেরেছে, সুমন্ত প্রায়ই তাঁর স্ত্রী এবং মাকে মারধর করতেন।

কিন্তু অপরাধ মারাত্মক হলে কি তার শাস্তি দিতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায়! এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত নেটমাধ্যম। একাংশের মত, এমন অপরাধের কঠোর শাস্তিই হওয়া উচিত। অন্য অংশ অবশ্য মনে করছে, যে ভাবে বাবা ছেলের হাত-পা বেঁধে অত্যাচার করে তাঁকে কার্যত খুন করেছেন, তা কাম্য নয়।

প্রসঙ্গত কেওনঝড়ে গত শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, খাতায়-কলমে হিসেব তা হলেও আদতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির সমান মনে হচ্ছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Heat weather killing arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE