Advertisement
০২ মে ২০২৪
Fraud

ভিডিয়ো কলে যৌনতার টোপ! খুনে নাম জড়ানোর অভিযোগে ১৬ লক্ষ হাতানো হল ৬৯-এর বৃদ্ধের

৬৯ বছরের রাকেশ জানিয়েছেন, এক রাতে হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল এসেছিল। ফোনটি করেছিলেন ‘একা তরুণী’। তিনি প্রবীণের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর আবেদন করেন।

অভিযোগ, ব্ল্যাকমেল করে এক প্রবীণের থেকে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র।

অভিযোগ, ব্ল্যাকমেল করে এক প্রবীণের থেকে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। ছবি: প্রতীকী

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২৪
Share: Save:

প্রথমে যৌনতার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। পরে খুনে নাম জড়ানোর ভয় দেখানো হয়। অভিযোগ, এ ভাবেই ব্ল্যাকমেল করে এক প্রবীণের থেকে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা রাকেশ সিংহ (নাম পরিবর্তিত)। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের খুঁজতে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ।

৬৯ বছরের রাকেশ জানিয়েছেন, এক রাতে হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল এসেছিল। ফোনটি করেছিলেন ‘একা তরুণী’। তিনি প্রবীণের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর আবেদন করেন। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েই বিপাকে পড়েন প্রবীণ। দিন দুই পর একটি ফোন আসে। তাতে বলা হয়, ফোন করেছিলেন যে তরুণী, তাঁকে খুন করা হয়েছে। প্রবীণের সঙ্গে তাঁর ‘সেক্সটিং’ সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করে দেওয়া হবে। সম্মান রক্ষা করতে চাইলে টাকা দিতে হবে প্রবীণকে। ১৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও যখন ব্ল্যাকমেল করা থামাননি অভিযুক্তেরা, তখন পুলিশের দ্বারস্থ হন রাকেশ। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, একই ভাবে এর আগে আরও কয়েক জনকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করা হয়েছে।

পুলিশকে রাকেশ জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর প্রথম বার ফোনটি এসেছিল। রাত ১০টা নাগাদ। অন্য দিকে, ছিলেন এক মহিলা। কিছু ক্ষণ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। রাকেশের কথায়, ‘‘ওই মহিলা আবার ভিডিয়ো কল করেন। নিজের পোশাক খুলে ফেলেন। আমাকেও পোশাক খুলতে বলেন। আমি রাজি হইনি। তখন ফোন কেটে দেন। এর পর আবার ফোন করেন। তখন আমি তাঁর কথায় রাজি হয়ে যাই।’’

রাকেশের দাবি, এর পরেই একটি ফোন আসে। এক জন পুরুষ ফোন করে জানান, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এ সবের জন্য প্রবীণকেই দায়ী করেন। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, মহিলার সঙ্গে রাকেশের যৌন-ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রমাণ হিসাবে প্রবীণকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিয়ো পাঠান অভিযুক্তের। এর পরেই হুমকি দিয়ে জানান, তাঁদের বলা অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠালে ওই ভিডিয়ো ডিলিট করে দেবেন। লোকলজ্জার খাতিরে টাকা পাঠিয়ে দেন ওই প্রবীণ।

সেখানেই থামেনি ব্ল্যাকমেল। এক অভিযুক্ত পুলিশ সেজে তাঁকে ফোন করেন। জানান, মহিলার খুনের এফআইআরে রাকেশের নাম রয়েছে। সেই এফআইআর বন্ধ করার জন্য দিল্লি পুলিশ কমিশনারের সই প্রয়োজন। সে জন্য আরও টাকা দাবি করেন। ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fraud Cyber Crime Blackmail
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE