Advertisement
E-Paper

বৈষ্ণোদেবীতে ৭২ ঘণ্টা বন্‌ধ, রোপওয়ে প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, পুণ্যার্থীরা সমস্যায়

বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারাকোট মার্গ থেকে সাঁঝি ছট পর্যন্ত পর্যন্ত ১২ কিমি পথে রোপওয়ের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিতেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সরব হন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৩
বৈষ্ণোদেবীতে রোপওয়ের বিরোধিতায় সরব স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বৈষ্ণোদেবীতে রোপওয়ের বিরোধিতায় সরব স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বৈষ্ণোদেবীতে রোপওয়ে প্রকল্পের বিরোধিতায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ডাকা ৭২ ঘণ্টা বন্‌ধের দ্বিতীয় দিন শনিবার। রবিবার পর্যন্ত এই বন্‌ধ চলার কথা। কিন্তু তার পরেও কি বন্‌ধ চলবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কায় ভুগছেন পুণ্যার্থীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই বন্‌ধ ডাকায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের।

বৈষ্ণোদেবীতে পৌঁছনোর জন্য পাহাড়ি পথে পুণ্যার্থীরা অনেকেই ঘোড়ার পিঠে এবং ডুলি চেপে যান। ফলে এই ব্যবসা রমরমিয়ে চলে সেখানে। এই পেশায় বহু মানুষ জড়িয়ে। ফলে এর উপরই তাঁদের জীবনজীবিকা নির্ভর করে। এ বার বৈষ্ণোদেবীতে সরাসরি পৌঁছনোর জন্য রোপওয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রকল্প চালু হওয়ার আগেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, রোপওয়ে চালু হলে অনেকের কাজ হারাবেন। তাই রোপওয়ে যাতে চালু না হয়, তারই বিরোধিতায় নেমেছেন ব্যবসায়ীরা।

বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটি সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারাকোট মার্গ থেকে সাঁঝি ছট পর্যন্ত পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথে রোপওয়ের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিতেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সরব হন। ঘোড়া চালক এবং ডুলি বাহকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। কাটরার শালিমার পার্কে তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন। ব্যবসায়ী সমিতির নেতা প্রভাত সিংহ বলেন, ‘‘কাটরাতে রোপওয়ে প্রকল্প চালু হতে দেব না। গত তিন বছর ধরে আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি। আমাদের শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন মন্দির কমিটি এই প্রকল্প চালু করছে। আমাদের দাবি না মানলে এই বন্‌ধ চালিয়ে যাওয়া হবে।’’

প্রতি দিন শয়ে শয়ে পুণ্যার্থী বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান। কিন্তু আচমকা ব্যবসায়ীরা বন্‌ধ ডাকায় পুণ্যার্থীরা সমস্যার মুখে পড়েছেন। ডুলি, পালকি, টাট্টু না পেয়ে পাহাড়ি রাস্তা হেঁটেই উঠতে হচ্ছে তাঁদের। মন্দির কমিটির সিইও অংশুল গর্গ বলেন, ‘‘এই প্রকল্প এই অঞ্চলের চেহারা বদলে দেবে। বিশেষ করে যাঁরা পাহাড়ি রাস্তায় চলতে পারেন না, এই প্রকল্প চালু হলে তাঁদের খুবই সুবিধা হবে।’’

Vaishno Devi bandh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy