দিল্লির বিস্ফোরণস্থল থেকে ৯ এমএমের তিনটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে তদন্তকারীদের একটি সূত্র এমনই দাবি করেছে। ওই সূত্রের দাবি, যে তিনটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে দু’টি তাজা এবং একটি ফাঁকা খোল। ঘটনাচক্রে, দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রে জানিয়েছে, এই ধরনের গুলি ব্যবহার করে সেনা, নিরাপত্তাবাহিনী এবং পুলিশ। বিস্ফোরণস্থল থেকে ৯ এমএমের কার্তুজ উদ্ধার হওয়ায় রহস্য আরও বাড়ছে।
তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, কার্তুজ উদ্ধার হলেও বিস্ফোরণস্থল থেকে কোনও পিস্তল বা আগ্নেয়াস্ত্রের কোনও অংশ মেলেনি। আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে এই ধরনের কার্তুজ বিস্ফোরণস্থলে এল? তা হলে কি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর উন নবির কাছেই ছিল এই কার্তুজ? তা হলে তা তিনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, বিস্ফোরণস্থল থেকে কার্তুজ উদ্ধার হওয়ার পরেই সেই ঘটনাস্থলে হাজির হওয়া পুলিশকর্মীদের সকলের আগ্নেয়াস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কারও কাছ থেকে কোনও কার্তুজ খোয়া যায়নি। ফলে এই কার্তুজ যে কোনও পুলিশকর্মীর সেই তত্ত্ব আপাতত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারী সূত্রের দাবি, এই ধরনের কার্তুজ কোথা থেকে এল, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত উমরের কাছে এই ধরনের কোনও অস্ত্র ছিল কি না, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের কার্তুজ উদ্ধার হওয়ায়, তদন্ত অন্য একটি মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লা মেট্রোর সামনে গাড়ি বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের আহত অনেকে। এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের তরফে নতুন করে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বিস্ফোরণ হয়েছিল লালকেল্লা মেট্রোর এক নম্বর গেটের কাছে। ঘটনার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেট্রো স্টেশনে ঢোকার সব ক’টি গেট। তবে শনিবার মেট্রো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর গেট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার থেকে অবশ্য সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।