Advertisement
E-Paper

বিস্ফোরক তৈরি, পরীক্ষার জন্য আল ফালাহে্‌‌র কাছে গবেষণাগার বানান চিকিৎসক উমর! সাহায্য করতেন পাক হ্যান্ডলাররা?

তদন্তকারীদের অনুমান, তিন চিকিৎসকের মধ্যে বোমা বানাতে দক্ষ ছিলেন উমরই। আর সে কারণেই নিজের বাড়িতে গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন তিনি। মূলত উমর একাই থাকতেন ওই গবেষণাগারে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০২
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর উন নবি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর উন নবি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যে ঘরে থাকতেন দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর-উন-নবি, সেই ঘরটিকেই আস্ত একটি গবেষণাগারে পরিণত করেছিলেন তিনি। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, ওই ঘরে বসেই নানা ধরনের বিস্ফোরক বানাতেন তিনি। আর এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন পাকিস্তানের হ্যান্ডলাররা। তাঁরা নানা রকম তথ্য এবং বিস্ফোরক বানানোর কৌশল উমরের সঙ্গে আদানপ্রদান করতেন। আর সেই তথ্য আদানপ্রদান চলত টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। অন্তত তেমনই দাবি তদন্তকারী ওই সূত্রের।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, উমর সম্ভবত বিস্ফোরক বানানোর জন্য ছোট ছোট উপকরণ সংগ্রহ করতেন। দিল্লির লালকেল্লার কাছে উমরের যে গাড়ি বিস্ফোরণ হয়, সেই গাড়িতে থাকা বিস্ফোরক ওই গবেষণাগারেই বানিয়েছিলেন তিনি। এমনই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, ফরিদাবাদে উমরের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক তৈরির নানা উপকরণ, সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে। উমরের বাড়ির গবেষণাগারের হদিস মেলে আর এক অভিযুক্ত চিকিৎসক তথা সন্দেহভাজন জইশ জঙ্গি মুজ়াম্মিল গনাইকে জেরা করার পর। তার পরই উমরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে সেই গবেষণাগারের হদিস পান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিস্ফোরণের কিছু দিন আগে হরিয়ানার নুহ্‌তে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন উমর। ১০ দিন সেই বাড়িতে ছিলেন।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, উমর, মুজ়াম্মিল এবং চিকিৎসক আদিল এই তিন জনের সঙ্গে পাকিস্তানে জইশ হ্যান্ডলার ফয়জ়ল, হাশিম এবং উকাসার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। তাঁদের সঙ্গে টেলিগ্রামে যোগাযোগ রাখতেন উমরেরা। তদন্তকারী ওই সূত্রের দাবি, সেখান থেকেই বোমা বানানোর নানা কৌশল, পরামর্শ, কী ভাবে বোমা বানাতে হবে, তার ভিডিয়োও ওই তিন চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হত টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। তদন্তকারীদের অনুমান, তিন চিকিৎসকের মধ্যে বোমা বানাতে দক্ষ ছিলেন উমরই। আর সে কারণেই নিজের বাড়িতে গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন তিনি। মূলত উমর একাই থাকতেন ওই গবেষণাগারে। কী ভাবে ইমপ্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বানাতে হবে, কোন কোন রাসায়নিক ব্যবহার করতে হবে, সব তথ্য দিতেন পাক হ্যান্ডলারেরা। ঘটনাচক্রে, ফরিদাবাদে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালানোর সময়, অর্থাৎ ৮-১০ নভেম্বরের মধ্যে দু’টি আলাদা বাড়ি থেকে ৩৫৮ কেজি এবং ২,৫৬৩ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। আর তা থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, বোমা একত্রিত করার প্রক্রিয়া চলছিল। ছোট ছোট প্যাকেট, সুটকেস এবং ব্যাগে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়।

Red Fort
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy