Advertisement
E-Paper

‘লেডি সার্জন’ বলে ডাকতেন সঙ্গীরা! বিস্ফোরণের সাত দিন আগে পাসপোর্ট যাচাই, দুবাইয়ে পালানোর ছক ছিল শাহীনের

তদন্তকারী এক সূত্রের দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে অক্টোবরের শেষের দিকে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন শাহীন। ৩ নভেম্বর ফরিদাবাদের ধৌজ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে শাহীনের পাসপোর্ট এবং ভিসা যাচাই করে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০০
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহীন সইদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহীন সইদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত তাঁর সঙ্গীদের কাছে ‘লেডি সার্জন’ নামে পরিচিত। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ফরিদাবাদের আল ফালহা্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক শাহীন সইদকে এই নামেই ডাকতেন সঙ্গীরা। জইশ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর যোগসূত্র উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। সেই জঙ্গিদলেও তাঁকে সকলে ‘লেডি সার্জন’ বলেই ডাকতেন। তদন্তকারীদের একটি সূত্র অন্তত তেমনই দাবি করেছে।

ওই সূত্রের দাবি, শাহীনের পরিকল্পনা ছিল হামলা সফল হতেই দেশ ছেড়ে পালাবেন। ঘটনাচক্রে, দিল্লি বিস্ফোরণের সাত দিন আগে পাসপোর্ট যাচাই (ভেরিফিকেশন) করিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ফরিদাবাদ থেকে এক পুলিশকর্মী যাচাই করার কাজের জন্য আল ফালাহ্‌‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন গত ৩ নভেম্বর। দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন শাহীন। আর এখান থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলার পরিকল্পনা ঠিকমতো সফল হলেই দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে পালাতেন শাহীন। কিন্তু বিস্ফোরণের আগের দিনই অর্থাৎ ৯ নভেম্বর আল ফালহা্‌ থেকেই গ্রেফতার করা হয় শাহীন এবং আরও এক চিকিৎসক মুজ়াম্মিলকে।

তদন্তকারী এক সূত্রের দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে অক্টোবরের শেষের দিকে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন শাহীন। ৩ নভেম্বর ফরিদাবাদের ধৌজ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে শাহীনের পাসপোর্ট এবং ভিসা যাচাই করে। পুলিশকর্মীরা সেই তথ্য যাচাইয়ের জন্য আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের ফ্ল্যাট নম্বর ৩২-এ যান। সেখানে পৌঁছে শাহীনের যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করেন। তার পর সেই নথির প্রতিলিপি নেন তাঁরা। ছবিও তোলেন। সেই সময় শাহীন একাই ছিলেন বলে ফরিদাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর।

সূত্রের খবর, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু কারণের জন্য তথ্য যাচাইয়ের পরেও পাসপোর্ট ছাড়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়নি। আর তার জেরেই দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়া আটকে যায় শাহীনের। ঘটনাচক্রে, দিল্লি বিস্ফোরণের পর যখন শাহীনের ফোন এবং নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়, সেই সময় ভিসার জন্য আবেদন এবং অসম্পূর্ণ হয়ে থাকা ভেরিফিকেশনের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। আর সেখান থেকেই সন্দেহ দৃঢ় হয়েছে, বিস্ফোরণের পরই দেশ ছেড়ে পালানোর ছক কষেছিলেন চিকিৎসক শাহীন।

অন্য দিকে, আল ফালহা্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র এনডিটিভি-কে জানিয়েছে, শাহীন প্রতি দিন বিকেল ৪টের সময় ‘আসল কাজ’ করার কথা উল্লেখ করতেন অনেকের কাছে। কিন্তু ৪টের পর সেই ‘আসল কাজ’ কী ছিল কেউ জানতেন না বলে দাবি। বিকেল ৪টের পর শাহীনের সেই ‘আসল কাজ’ কী, তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Red Fort
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy