প্রতীকী ছবি।
দলিত তরুণকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তরুণের মাকেও বিবস্ত্র করে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং অশান্তি থামায়। ন’জন মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আট জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দলিত তরুণের ১৮ বছর বয়সি বোন ২০১৯ সালে কয়েক জনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিল। তা নিয়ে আদালতেও মামলা শুরু হয়। তরুণের মায়ের দাবি, তার পর থেকেই তাঁদের পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হতে থাকে। রবিবার কয়েক জন মিলে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছেলেকে মারধর করতে শুরু করেন বলে মহিলার দাবি। তিনি বলেন, ‘‘আমার চোখের সামনে ছেলেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলছিল ওঁরা। আমি বাধা দিতে গেলে আমার শাড়ি টেনে খুলে দেন। আমার মেয়েকেও মারধর করতে বাদ রাখেননি। আমাদের ঘরে ঢুকে সব তছনছ করে দিয়েছে।’’
মহিলা আরও বলেন, ‘‘আমার ছেলেটাকে আর বাঁচানো গেল না। পুলিশ খবর পেয়ে পরে এসেছিল। আমাকে ওই অবস্থায় দেখে একটি গামছা দেওয়া হয়। ওই গামছা জড়িয়েই কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। পরে কেউ এক জন শাড়ি এনে দেন।’’ এই ঘটনা ঘিরে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে দলিত এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি অত্যাচারের জন্য বিজেপি সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, ঘটনাটির পর কংগ্রেস হাত গুটিয়ে বসেছিল। যা পদক্ষেপ করার বিজেপির তরফেই করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতের পরিবারকে যথাসম্ভব আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy