পণের দাবিতে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় পণের দাবিতে এক বধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। নয়ডার ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। ওই ঘটনার তদন্তের মাঝেই এ বার উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেই পণের দাবিতে স্ত্রীর আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত দেবেন্দ্র সিংহ উত্তরপ্রদেশের রামপুরে একটি থানায় হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পণ সংক্রান্ত বিষয়ে স্ত্রী পারুলের সঙ্গে অশান্তি চলছিল তাঁর। গত মঙ্গলবার পণের দাবিতে ফের স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হয় পুলিশকর্মীর। অভিযোগ, সেই সময়েই স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন অভিযুক্ত। পরে আক্রান্ত পারুলকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লিতে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন আক্রান্ত বধূ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পরে আক্রান্ত মহিলার বাপের বাড়ির লোকেরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। দেবেন্দ্র পণের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন বলে থানায় জানান তাঁরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার হেড কনস্টেবল দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও কী কারণে মহিলা পুড়ে গিয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন:
নয়ডায় বধূহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একই ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে। সম্প্রতি রাজস্থানের এক বধূ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে নিজের এবং তিন মাসের কন্যার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়। এরই মধ্যে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশকর্মীও।