ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের পরে এ বার মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে নিরাপত্তা বাহিনী-মাওবাদী সংঘর্ষ। সিআরপিএফ এবং মাওবাদী দমনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ বাহিনী ‘সি-৬০’-র যৌথ অভিযানে বুধবার গডচিরোলী জেলার জঙ্গলে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা-সহ অন্তত চার জন মাওবাদীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর লাগোয়া এলাকায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।
পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২৫ অগস্ট সূত্র মারফত তথ্য এসেছিল, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ১০ নম্বর কোম্পানি ও সহযোগী বাহিনী গাট্টা দলমের জঙ্গিরা কোপারশি বনাঞ্চলে হাজির হয়েছে। পেরিমিলি দলম এবং টিপাগড় দলমের কিছু সদস্যের গতিবিধিও রয়েছে ওই অঞ্চলে। এর পরেই সিআরপিএফের ‘কুইক অ্যাকশন টিম’ এবং সি-৬০ বাহিনী যৌথ ভাবে এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযানে নামে।
আরও পড়ুন:
গডচিরোলীর পাশাপাশি সীমানার ওপারে ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুর জেলার পাহাড় জঙ্গলঘেরা এলাকাতেই মাওবাদীদের খোঁজ শুরু করে সিআরপিএফের ‘কোবরা’ কমান্ডো বাহিনী এবং ছত্তীসগঢ় পুলিশের ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ (ডিআরজি) ও ‘বস্তার টাইগার্স’ বাহিনী। বুধবার ভোরে গডচিরোলীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম রমেশের নেতৃত্বাধীন একটি দল দুই রাজ্যের সীমানাবর্তী এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতি চিহ্নিত করে। তার পরেই শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। দুপুরে নিহত চার মাওবাদীর দেহের পাশাপাশি একটি এসএলআর, দু’টি ইনসাস রাইফেল এবং একটি ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল উদ্ধার করা হয়। মেলে বিস্ফোরক, ক্যাম্পিং উপকরণ-সহ বিভিন্ন সরঞ্জামও।