—প্রতীকী চিত্র।
ঘরে পড়ে আধখাওয়া রুটি। দরজা ভেঙে কোটার একটি হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল ১৬ বছরের এক পড়ুয়ার দেহ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে তদন্তের পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তারা। কোটায় চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে প্রমাণিত হলে, সংখ্যাটি বেড়ে হবে ২৪।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সি এক ছাত্রী রাজস্থানের কোটা শহরে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। থাকছিলেন ব্লেজ় নামের একটি হস্টেলে। বুধবার সকালে হস্টেলের ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য পেতে ইদানীং কোটার বিকল্প নেই, অন্তত এমনটাই মনে করেন বহু অভিভাবক। তাই সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় ছেলেমেয়েকে প্রতি বছর কোটায় পড়তে পাঠান বহু মা-বাবা। সেখানে অসংখ্য কোচিং সেন্টারে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে প্রশিক্ষণ নেন পড়ুয়ারা। যদিও বহু বার অভিযোগ উঠেছে যে, কোটায় পড়ুয়াদের উপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। গত ডিসেম্বরে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে কোটার কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিকে একটি নোটিস দিয়ে পড়ুয়াদের এক দিন ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই নির্দেশ সর্বত্র মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আত্মহনন রুখতে সম্প্রতি কোটা শহরের সমস্ত হস্টেল এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে যত শীঘ্র সম্ভব স্প্রিং দেওয়া ঝুলন্ত পাখা লাগানোর নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। যদিও এই ভাবে কাজের কাজ কতটা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy