ছুটিতে পাঠানো সিবিআই প্রধান অলোক বর্মার বিরুদ্ধে দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে সিভিসি-কে। যাঁর নজরদারিতে সেই তদন্ত হবে, সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়কের সঙ্গে সিবিআইয়ের স্বাধীন কাজকর্মের সম্পর্ক বেশ পুরনো।
২০০৩-এ অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইন বদলে ডানা ছাঁটা হয়েছিল সিবিআইয়ের। যুগ্মসচিব স্তরের উপরে কোনও সরকারি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সরকারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। এর ১১ বছর পরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই শর্ত বাতিল করে দেয়। বিচারপতি পট্টনায়ক ছিলেন ওই বেঞ্চের অন্যতম সদস্য। এর বছরখানেক আগে কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলার শুনানির সময় তিনি মন্তব্য করেছিলেন সিবিআই ‘খাঁচার তোতাপাখি’ হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক প্রভুর কথাই বলে যাচ্ছে।
তাঁর সেই মন্তব্য গোটা দেশে তুমুল আলোড়ন ফেলে। এত বছর পরে যখন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআইয়ের মতো সংস্থায় ছড়ি ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে, তখন তদন্তের নজরদার হতে ডাক পড়ল সেই বিচারপতির। অবসরের পরেও!