প্রতীকী ছবি।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার সুধীরকুমার জৈন। সেই চিঠি পেয়ে পাল্টা সুধীরকে চিঠি লিখে নতুন বাড়ি পাওয়ার অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রের মতে, দলের প্রতিষ্ঠা সপ্তাহে দেশের প্রান্তিক স্তরের মানুষের সঙ্গে জোড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে দল। তারই অঙ্গ হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর ওই উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামীণ এলাকার মতোই শহুরে এলাকায় গরিব বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১.২২ কোটি বাড়ি তৈরির আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৫৮ লক্ষের বেশি বাড়ি প্রাপকদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সাগর জেলার সুধীর। সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, ওই যোজনার ফায়দা পাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ভাড়া বাড়িতে থাকার কল্যাণে এ পর্যন্ত তাঁকে ৬-৭ বার বাড়ি বদল করতে হয়েছে। এর যে যন্ত্রণা তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। সুধীর এও জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে আবাস যোজনায় বাড়ি প্রাপ্তির ফলে তাঁর সমস্যা মিটেছে।
সুধীরের সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী। সুধীরকে দেওয়া পাল্টা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘নিজের ছাদ, নিজের বাড়ি হাতে পাওয়ার যে সুখ তা অমূল্য। একটি বাড়ি কেবল ইঁট-কাঠ বালি নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে এক জন ব্যক্তি, একটি পরিবারের অনুভূতি ও আকাঙ্ক্ষা।’’ প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে জানিয়েছেন, বাড়ি হাতে পাওয়ার যে আনন্দ সুধীরের হয়েছে তা তিনিও অনুধাবন করতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, সুধীরের ওই বাড়ি এক দিকে যেমন পরিবারের মর্যাদা বাড়াবে তেমনই ভবিষ্যত।
প্রজন্মের ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। কারণ একটি বাড়ির সীমানার চারপাশে থাকা পাঁচিল সুরক্ষা প্রদানের সঙ্গে ভবিষ্যতের আত্মবিশ্বাস জোগায়। প্রধানমন্ত্রীর আশা, বাড়িটা সুধীরের পরিবারের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের নয়া ভিত্তি ও তাঁর দুই সন্তানের ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করবে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘আপনার মতো সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে লাভবান উপভোক্তাদের অভিজ্ঞতা আমাকে জাতির সেবায় নিরলস কাজ করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy