স্ত্রীর চোখে দিয়েছিলেন লঙ্কার গুঁড়ো, তার পর তাঁকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছিলেন স্বামী। বছর তিনেক আগের ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল উত্তরাখণ্ডের এক আদালত। তাঁকে যাবজ্জীবনের সাজা শোনালেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল ধামপুরে। মৃতার ভাই সোনু জোশী তাঁর ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সোনুর অভিযোগ ছিল, ২০১২ সালে ধামপুরের বাসিন্দা সচিন যাদবের সঙ্গে তাঁর বোনের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁর বোনকে মারধর শুরু করেন সচিন। মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করতেন বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রায়ই নেশা করে বাড়ি আসতেন সচিন। আপত্তি করলে বোনকে মারতেন তিনি। যা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।
সোনুর দাবি, ঘটনার দিন সকালে তাঁর বোনের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন সচিন। চিৎকার করতে করতে তিনি শৌচালয় থেকে চোখ ধুয়ে আসেন। তার পর আচমকাই তাঁর গায়ে ডিজ়েল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন সচিন এবং তাঁর বাবা-মা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিন মাস পর মৃত্যু হয়েছিল ওই মহিলার।
আরও পড়ুন:
সোনুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে সচিন, তাঁর বাবা আদেশ এবং কাকার ছেলে অভিষেককে গ্রেফতার করে। যদিও পরে প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান আদেশ এবং অভিষেক। কিন্তু জেলমুক্তি হয়নি সচিনের। বিজনৌরের একটি আদালত সম্প্রতি তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক।