অভিযুক্তকে ডোবা থেকে টেনে তুলল পুলিশ। ছবি সংগৃহীত।
দু’জনকে খুন করে পালানোর অভিযোগ উঠল এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করল এলাকারই এক কাদায় ভরা ডোবা থেকে। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, গ্রামবাসীদের মারের হাত থেকে বাঁচতেই ডোবায় আশ্রয় নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘরে। অভিযুক্ত যুবকের নাম কিশোর মণ্ডল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার কুদান গ্রামের এক প্রৌঢ়কে কুড়ুল দিয়ে আক্রমণ করেন তিনি। তার পর অন্য এক গ্রামবাসীর বাড়ি ঢুকে একই অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। সে সময় গ্রামের অন্যান্যরা তাঁকে দেখতে পেয়ে যান। কিশোরকে ধরার জন্য তাড়া করেন। যদিও তাঁকে ধরতে পারেননি কেউই।
অভিযুক্ত যুবক সোজা গ্রামেরই এক কাদাভর্তি ডোবায় ঝাঁপ মারেন। সেখান থেকেই গ্রামবাসীদের উদ্দেশে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করতে থাকেন বলেও অভিযোগ। গ্রামবাসীরাই পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসে। তার পর ওই ডোবায় ডুবুরি নামিয়ে টেনে তোলা হয় অভিযুক্তকে। ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
অন্য দিকে, আহত অবস্থায় দু’জন গ্রামবাসীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনেরই। ঘটনার পর থেকেই গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দোষীর কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের কথায়, গত দু’দিন ধরেই অভিযুক্তকে গ্রামের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। সন্দেহ হলেও তাঁকে তেমন কেউ পাত্তা দেননি। তবে তিনিই যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন, তা কল্পনাতেও আসেনি কারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy