রাতে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে কেরামতি করতেন। কখনও একা, আবার কখনও সঙ্গে বন্ধুরা থাকতেন। বাবা পুলিশ হওয়ায় মনে ‘ভয়’ ছিল না। কিন্তু ছেলের কীর্তি জানতেই রেগে গিয়ে চড় মারেন পুলিশ অফিসার বাবা। সেই রাগে গাড়ি দিয়ে বাবার এক সহকর্মীকে ধাক্কা মারেন গুরুগ্রামের এক যুবক। জানা গিয়েছে, পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে গুরুগ্রামের সেক্টর ১০এ থানা এলাকার দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এসিপি বরুণ দাহিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এক্সপ্রেসওয়েতে টহল দিচ্ছিল। সে সময় একটি এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন এসিপি দাহিয়া।
তড়িঘড়ি আহত পুলিশকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, হাঁটু এবং পেটে চোট পেয়েছেন তিনি। বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর ছাড়া পান। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় একটি এসইউভি রাস্তায় কেরামতি করছিল। সে সময় গাড়িকে থামতে বলা হয়। চালককে জিজ্ঞাসাবাদের সময়, গাড়ির চালক জানান তাঁর নাম তরুণ কুমার এবং তাঁর বাবা এক জন পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার। সে সময় এসিপি দাহিয়া অভিযুক্তকে বলেন, বাবাকে ফোন করে ডাকতে।
আরও পড়ুন:
ছেলের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তরুণের বাবা। দাহিয়ার থেকে সব ঘটনা শুনে সকলের সামনেই ছেলেকে চড় মারেন। তার পর চলে যান। সকলের সামনে বাবার হাতে মার খেয়ে রেগে যান তরুণ। গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ার সময় দাহিয়াকে ধাক্কা মেরে পালান তিনি।
অভিযুক্ত তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তরুণ। অবশেষে তাঁর নাগাল পাওয়া গেল। তার পরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।